কলকাতা, 26 জানুয়ারি : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজ়ম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনে 2 বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষার শুরুতেই বাইরে ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্র। এদিন দুপুর 2টো থেকে 3টে পর্যন্ত অনলাইনে গুগল ফর্মে পরীক্ষা হয়। কিন্তু, দুপুর 2টোর বাজার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রবেশিকার 50টি মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনের বহু স্ক্রিনশট। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কোনও বাইরের মানুষও গুগল ফর্মটিতে ঢুকে প্রশ্নপত্র দেখতে পাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।
জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনে 2 বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নানা সময়ে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। কিছুদিন আগেই ফি কমানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। ফলস্বরূপ 2 বছরে 40 হাজার ফি কমিয়ে 26 হাজার টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি বছর 13 হাজার টাকা করে ফি দিতে হবে ওই কোর্সে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের। তারপরে 2020-21 শিক্ষাবর্ষে জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন 2 বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে প্রথমে শুধুমাত্র জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনে স্নাতক করা পড়ুয়াদেরই ভর্তি নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও ভরতির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই বর্তমান ছাত্রদের প্রতিবাদের জেরে যে কোনও বিষয়ে স্নাতক করা পড়ুয়ারা এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। সেই সময়ই প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়া ভরতি নিতে রাজি হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকাশ করা হয় ভরতির বিজ্ঞপ্তি । 20 জানুয়ারি পর্যন্ত চলে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। 22 জানুয়ারি প্রবেশিকা পরীক্ষা তথা অনলাইন অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত 611 জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়। আজ দুপুর ২টো থেকে পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশিকার 50টি এমসিকিউ প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ে বাইরে। এমনকি গুগল ফর্মের মাধ্যমে তৈরি ওই প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট গিয়েও যে কেউ দেখতে পাচ্ছিলেন। কারণ, লগ-ইনের কোনও অপশন ছাড়াই সরাসরি গুগল ফর্মটি খুলে যাচ্ছিল। প্রমাণ স্বরূপ প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন স্ক্রিনশট ও স্ক্রিন রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে । ঘটনাটি সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষামহলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে পরীক্ষার গোপনীয়তা ভঙ্গ হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সংশ্লিষ্ট মহলে।