কলকাতা, 18 জুন : কাশিম আইদারা এবং ফিজ়িয়ো কার্লোস নোদারের দেশে ফেরার দিন স্থির হয়েছিল আগেই । সেই মতো তাঁরা নির্ধারিত দিনে কলকাতা ছেড়ে নিজের দেশের বিমান ধরেছেন । এবার বিমানের টিকিট মিলল জনি অ্যাকোস্টারও । কিন্তু সমস্যা মেটেনি । দিল্লিতে পা দেওয়ার পরেও কোস্টরিকার বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার ভারত ছাড়তে পারেননি । ফলে দিল্লির কোস্টরিকার দূতাবাসে তাঁকে থাকতে হচ্ছে । এখনও পর্যন্ত খবর, হয়ত সবকিছু ঠিক হলে শুক্রবার জনি অ্যাকোস্টা ভারত ছাড়বেন ।
ইস্টবেঙ্গলের বিদায়ি বিনিয়োগ সংস্থা এই তিন বিদেশির দেশে ফেরার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়িত করতে সফল হয়নি । এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে এই তিন বিদেশিকে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয় । ঠিক ছিল, 11 জুন কেন্দ্রীয় সরকারের বন্দে ভারত প্রকল্পে এই তিন বিদেশির দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে । কিন্তু ফিজ়িয়ো কার্লোস নোদারের স্পেনে ফেরার এবং ফ্রান্সজাত সেনেগালের ফুটবলার কাশিম আইদারার বিমানের টিকিট মিললেও, অ্যাকোস্টার দেশ কোস্টারিকার বিমান এতদিন মেলেনি । কাশিম আইদারা 13 জুন দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে 14 জুন সকালে লন্ডন যাওয়ার বিমান ধরেছেন । কার্লোস নোদার আজ মুম্বই যাওয়ার জন্য কলকাতা ছেড়েছেন । আগামীকাল ফ্র্যাঙ্কফুট উড়ে যাবেন তিনি । সেখান থেকেই মাদ্রিদের বিমান ধরবেন ।
জনি অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার বিষয়টি কোনওভাবেই নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না । এতদিন ধৈর্য ধরলেও বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার মেজাজ হারাতে শুরু করেছিলেন । বেতন কাটা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন । এবার যাত্রা বিভ্রাট নিয়েও অসন্তোষ গোপন করেননি। বলছিলেন, মারিও রিবেরা,কোলাডোদের সঙ্গে বিমান ধরতে পারতেন, কিন্তু তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছিল । এখন অজুহাতের পালা চলছে । পুরো বিষয়টি বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে । এটা ঠিক যে কোস্টারিকার বিমান পাওয়া কঠিন । অ্যামেরিকা হয়ে যাওয়ার পথ থাকলেও তা এখন বন্ধ । ফলে অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার বিষয়টি ক্রমশই ঘোরালো হয়ে উঠছিল । অবশেষে তিনি নিজের দেশ কোস্টারিকার পথে এবং সেটা সম্ভবত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে চেষ্টা করেছিলেন । ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কিংবা বিদায়ি বিনিয়োগ সংস্থার সৌজন্যে নয় । সোমবার সকালে কলকাতা থেকে রওনা হয়ে দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন যাবেন, এটাই ঠিক ছিল । সেখান থেকে কোস্টরিকা পৌঁছাবেন তিনি । নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবস্থা করলেও তা যে ফলপ্রসূ হয়নি তা তাঁর দিল্লিতে তিনদিন আটকে থাকার মধ্যে প্রমাণিত ।
বিদায় বেলায় ইস্টবেঙ্গল সদস্য সমর্থকদের ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন । কিন্তু বেতন বিভ্রাট এবং দেশে ফেরা নিয়ে লাল হলুদ ম্যানেজমেন্টের মানসিকতায় আঘাত পেয়েছেন তা গোপন করেননি । বলেছেন, "আমার জীবনের একটা বৃত্ত পূর্ণ হল । এবারের অভিঞ্জতা মোটেই সুখকর নয় । এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার যথেষ্ট সম্মান এবং ভালোবাসা ছিল । কিন্তু শেষে চুক্তি থেকে বেতন সমস্যা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হল । আমার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট কোনও সহযোগিতা করেনি । ইস্টবেঙ্গল ক্লাব গোটা বিষয়ে নীরব থেকেছে । তবে আমি ভালোটুকু মনে রাখতে চাই ।"
অ্যাকোস্টার এজেন্ট ইস্টবেঙ্গলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন । কিন্তু দোষারোপের পালা চললেও সমস্যা মিটতে গিয়েও মিটছে না, যা বিতর্ক বাড়াচ্ছে ।