কলকাতা, 25 জানুয়ারি : দল থেকে সাময়িক বরখাস্তের পর মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ মজুমদার। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা তাঁর গলায় (Jayprakash Majumdar Praises Mamata Banerjee)। রদবদলের পর বিজেপির রাজ্য কমিটির দুই শীর্ষনেতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি জানান, এ রাজ্যের রাজনীতিতে দু'জনের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা পাঁচ বছরেরও কম ৷ অথচ তাঁদের লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ৷ যিনি বর্তমান ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম সেরা স্ট্র্যাটেজিস্ট ৷
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ভারতবর্ষের রাজনীতির অন্যতম সেরা কুশলী এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৷ তিনি আমাদের বিপক্ষে থাকলেও এই তত্ত্ব তো অস্বীকার করার জায়গা নেই ৷ আমি একজনকে তিনদিন প্র্যাকটিস করিয়ে মেসির টিমের বিরুদ্ধে খেলতে নামিয়ে দিলাম সেটা তো হয় না ৷" জয়প্রকাশের উপমা শুনে তখন পাশে বসে মুচকি হাসছিলেন আরেক বিক্ষুব্ধ এবং বরখাস্ত নেতা রীতেশ তিওয়ারি ৷
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য নেতৃত্বের থেকে বরখাস্তের চিঠি পাওয়ার পর জানিয়েছিলেন যা বলার মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলবেন ৷ কথামতোই এদিন প্রেস ক্লাবে রীতেশ তিওয়ারিকে পাশে বসিয়ে বিস্ফোরণ ঘটান রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar outbursts at Press Conference after suspension) ৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে জয়প্রকাশ অভিযোগের সুরে জানান, 2019 লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে 40 শতাংশ ভোট পাওয়ার পরেও বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷ পরিবর্তে অন্য দল থেকে লোক ভাঙিয়ে এনে 2021 বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কারণেই দলের এই ভরাডুবি ৷ যা দলের নীচুতলার কর্মী, বুথকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল বলেই মত পদ্মশিবিরের বিক্ষুব্ধ এই নেতা ৷
আরও পড়ুন : Jayprakash Majumdar PC : 2019 নির্বাচনে বিজেপির উত্থান মানতে পারেনি দলের একাংশ, বরখাস্ত হয়ে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ
এখানেই শেষ নয় ৷ বিস্ফোরক জয়প্রকাশের আরও অভিযোগ, 'আব কি বার দোশো পার' স্লোগান দিয়ে 2021 বিধানসভায় মুখ থুবড়ে পড়ার পরেও কোনও পর্যালোচনা হল না দলের অন্দরে ৷ জয়প্রকাশের কথায়, "খারাপ ফল হতেই পারে কিন্তু চাদর চাপা দিয়ে দিলে রোগ সারে না ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাই করা হল ৷" বুথস্তরের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে গেলে এগুলো প্রয়োজন ছিল বলেই মত তাঁর ৷