পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

Mahua Moitra: "বেআইনি আবাসন প্রকল্পের সুবিধে নিয়েছেন, এটা কি সাংবিধানিক আঙ্কেলজি ?" রাজ্যপালকে তোপ মহুয়ার - জগদীপ ধনকড়ের খবর

"বেআইনি আবাসন প্রকল্পের সুবিধে নিয়েছেন, এটা কি সাংবিধানিক ছিল আঙ্কেলজি ?" রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) এই ভাষাতেই বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)৷

jagdeep Dhankhar was beneficiary of illegal residential land allotment which was cancelled by HC, claims Mahua Moitra
"বেআইনি আবাসন প্রকল্পের সুবিধে নিয়েছেন, এটা কি সাংবিধানিক আঙ্কেলজি ?" রাজ্যপালকে তোপ মহুয়ার

By

Published : Jun 29, 2021, 11:18 AM IST

কলকাতা, 29 জুন : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) অতীত ঘেঁটে একের পর এক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে রাজ্য সরকার ৷ গতকালই 1996 সালের হাওয়ালা-জৈন কেলেঙ্কারির চার্জশিটে জগদীপ ধনকড়ের নাম ছিল বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ যদিও পরে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ মমতার বাউন্সার সামলে উঠতে না-উঠতেই এ বার রাজ্যপালকে ইয়র্কার দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) ৷ তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে আবাসনের জমি বরাদ্দের (Illegal Residential Land Allotment) সুবিধেভোগী ছিলেন ধনকড় ৷ যদিও পরে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সেই বরাদ্দ খারিজ করে দেয় ৷ টুইটে ফের রাজ্যপালকে 'আঙ্কেলজি' বলে খোঁচা দিয়ে এই সংক্রান্ত রায়ের প্রতিলিপিও তুলে ধরেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ ৷

আরও পড়ুন :হাওয়ালা-জৈন কেলেঙ্কারির চার্জশিটে নাম ছিল ধনকড়ের, অভিযোগ মমতার

আজ সাতসকালে টুইট করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ আনেন মহুয়া মৈত্র ৷ তিনি টুইটে লেখেন, "'বিশুদ্ধতার প্রতীক' পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বেআইনি আবাসন বরাদ্দের সুবিধেভোগী ছিলেন, যেটা পরে বাতিল করে দেয় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চ ৷ এটা কি সাংবিধানিক ছিল, আঙ্কেলজি ?"

টুইটের সঙ্গে এই সংক্রান্ত রায়ের প্রতিলিপিও পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, 1997 সালের একটি মামলায় রায়দান করেছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ৷ রায়ে বলা হয়েছিল, ডিসক্রিশনারি কোটায় যে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার জন্য আবেদনকারীরা সেই জমি পাওয়ার যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়নি ৷ ওই জমি পাওয়ার জন্য আবেদনকারী কর্মক্ষেত্রে বিশিষ্ট কেউ কি না, বা দুঃস্থ কি না, তার উল্লেখ করেননি আধিকারিকরা ৷ সেই জমি আবেদনকারীকে দেওয়া যাবে কি না, তার কোনও সরেজমিন তদন্ত হয়নি ৷ ফরিদাবাদ, গুরগাঁও ও পাঁচকুল্লার জমিগুলি বহু সাংসদ, হরিয়ানা, বিহার, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, গুজরাত, পঞ্জাবের নির্বাচিত বিধায়ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য ও তাঁদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৷ যাঁদের নামে জমিগুলি বরাদ্দ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জগদীপ ধনকড়ের নামও রয়েছে ৷ লাল কালি দিয়ে তা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র ৷

আরও পড়ুন:"ছোটবোন" মমতার অভিযোগ ওড়ালেন "দাদা" ধনকড়

হাওয়ালা-জৈন মামলার চার্জশিটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নাম থাকার অভিযোগ এনে গতকালই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেন, "হাওয়ালা-জৈন মামলায় কেউ দোষী প্রমাণিত হননি । আপনাদের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট ছিল না । ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে । এটা আমি আশা করিনি । আমার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ।" যদিও ধনকড়কে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, "জৈন-হাওয়ালার ডায়েরিতে নাম ছিল কি না, বললেন না রাজ্যপাল । সম্ভবত তিনি অর্ধসত্য কথা বলেছেন ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details