কলকাতা, 25 মার্চ : প্রতিবাদের আগুন তাঁদের স্লোগানে ৷ আবার সংকটজনক পরিস্থিতিতেও পাশে এসে দাঁড়ালেন ওঁরা ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া ৷ আজ 12 লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করে বিলি করলেন তাঁরা ৷ প্রতিদিন তাঁরা গড়ে 12 থেকে 15 লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিলি করেন। এখনও শহর এবং শহরতলিতে স্যানিটাইজা়রের আকাল রয়েছে। সেই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি কালোবাজারিও করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
যাদবপুরে বিতরণ স্যানিটাইজ়ার আজ 450 জনকে 12 লিটার স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক বিতরণ করা হয়েছে। বাঘাযতীন, ঢাকুরিয়া, যাদবপুর এবং সুলেখা অঞ্চলে সমস্ত পৌরসভার কর্মী, ট্রাফিক পুলিশ, এলাকার ATM, আবাসনের পাহারাদারদের হাতে স্যানিটাইজা়র সরবরাহ করা হয় ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ কোরোনা মোকাবিলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই অভিনব উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে স্যানিটাইজা়রের আকাল থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে ৷ এলাকার যে সমস্ত দোকান খোলা ছিল, তাদেরও স্যানিটাইজা়র বিতরণ করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক নিরাপত্তারক্ষীকে স্যানিটাইজা়র দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েনি এলাকার ট্রাফিক গার্ড এবং যাদবপুর থানার পুলিশও ৷
খিদিরপুরের যৌনকর্মীদের পৃথকভাবে 10 লিটার স্যানিটাইজার এলাকার কাউন্সিলরের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল আরও বেশি স্যানিটাইজা়র তৈরি করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এলাকায় বিতরণ করবে বলে জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসের 10 তারিখ পর্যন্ত স্যানিটাইজারের আকাল হবে না, জানান অন্যতম প্রস্তুতকারক সৌরদীপ চক্রবর্তী ৷ স্যানিটাইজারের কাঁচামাল কেনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কেউ যদি অর্থের সাহায্য করেন, তা সাদরে গৃহীত হবে বলে জানিয়েছেন সৌরদীপ ৷