কলকাতা, 22 জানুয়ারি : এতদিন চলছিল আলাপ আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর প্রক্রিয়া ৷ এবার দলের অন্দরে থেকে ‘বেসুরো’দের প্রতি কড়া মনোভাব নিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বহিষ্কার করা হল বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে ৷ কিন্তু বিদ্রোহ ঠেকাতে কড়া অবস্থান নিতে তৃণমূল কংগ্রেস কি বড্ড বেশি দেরি করে ফেলল না, আপাতত সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ ৷
তৃণমূল কংগ্রেসে প্রথম বিদ্রোহী হন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁকে দলের পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন৷ মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তাঁকে দেখা যেত না ৷ এর পর সময় যত এগিয়েছে, ততই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি ৷ তবে কখনও নাম করেননি দলের ৷ বা কোনও নেতার নামও তাঁর মুখে শোনা যায়নি ৷
এর পর একে একে আরও অনেকে তৃণমূলের অন্দরে মুখ খুলতে শুরু করেন ৷ সেই তালিকায় সুনীল মণ্ডল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালি ডালমিয়া, শতাব্দী রায়, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেই রয়েছেন ৷ সুনীল মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগদান করেছেন৷ আবার রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকে দলের অন্দরে থেকেই ক্ষোভপ্রকাশ করে যাচ্ছেন৷