কলকাতা, 17 মে :সময়টা বছর দুয়েক আগের ৷ ফেব্রুয়ারি মাসের এক রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আচমকাই কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা ৷ কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে সেদিন সন্ধ্যা থেকে রীতিমতো তুলকালাম হয়েছিল কলকাতায় ৷
সেই সন্ধ্যায় রাজীব কুমারের জন্য পথে নেমেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজীব কুমারের বাসভবনে গিয়েছিলেন ৷ পরে ধর্মতলায় ধর্নাতেও বসেন তিনি ৷ আর সেই টানাপোড়েনে সেদিন রাজীব কুমারের বাসভবনে ঢুকতেই পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর সদস্যরা ৷
ওই মামলার অগ্রগতি তার পরে বিশেষ কিছু হয়নি ৷ আদালতের নির্দেশে তখন রাজীব কুমারকে শুধু জেরা করেই থামতে হয়েছিল সিবিআইকে ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই সন্ধ্যায় ময়দানে নেমে কার্যত কেন্দ্রীয় ওই সংস্থার আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সময় রাজনৈতিক জয় হয়েছিল মমতারই ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই হয়তো এবার আটঘাঁট বেঁধেই পথে নেমেছে সিবিআই ৷ রাজ্যে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে লকডাউন৷ করোনা মোকাবিলায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ ফলে চাইলেও ধর্নায় বসতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই লকডাউনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই চারজনকে ৷