পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

হলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে পরীক্ষা বাতিল, কড়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়লে পরীক্ষা বাতিলও হতে পারে। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের করা হতে পারে সাসপেন্ড।

ছবিটি প্রতীকী

By

Published : Feb 10, 2019, 4:26 AM IST

Updated : Feb 10, 2019, 5:20 AM IST

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি : ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। পরীক্ষা হলে মোবাইল ব্যবহার নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে খবর, মোবাইল হাতে কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে, তার পরীক্ষা বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে। আর যদি কোনও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারী মোবাইল হাতে ধরা পড়েন, তাহলে তাঁকে সাসপেন্ডও করা হতে পারে। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষকের ঘরে একটি আলমারিতে রাখতে হবে। আর সেই আলমারির চাবি থাকবে ভেন্যু ইনচার্জের কাছে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক পদস্থ আধিকারিক জানাচ্ছেন, কেউ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নিয়ে ঢোকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের ঘরে মোবাইল রেখে দিতে হবে। মোবাইল শুধুমাত্র ভেন্যু ইনচার্জ, ভেন্যু সুপারভাইজ়ার ও অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজ়ারের কাছে থাকবে। বাকি শিক্ষক-অশিক্ষক বা ছাত্রদের কাছে মোবাইল থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, “মোবাইলসহ ধরা পড়লে পরীক্ষার্থীদের খাতা RA করা হবে। আগে ধরা পড়লে অবশ্য আগেই আটকে দেওয়া হবে। আর যদি আগে ধরা না পড়ে, তাহলে উত্তরপত্র RA করা হবে।”

শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নেওয়া হবে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন। ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনে তাঁদের সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে। তিনি বলেন, “সাসপেনশন ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনেরই একটা অংশ। অফেন্স বুঝে যদি মনে করা হয় সাসপেন্ড করা দরকার তাহলেই তা করা হয়। সাসপেনশন নিয়ে আলাদা করে কিছু নেই। ওটা ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের মধ্যে যা নিয়ম আছে, সেই অনুযায়ী হবে। যদি কেউ দোষ করে থাকে, তাহলে যা প্রসেস আছে তাই হবে। যদি মনে হয় স্কুলে থাকলে এনকোয়েরি প্রসেসটা হ্যাম্পার হবে, তাহলে সাসপেন্ড করে এনকোয়েরি চালানো হয়। যদি সেরকম কেউ প্রভাবশালী না হন, তাহলে সাসপেনশন না করেও ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া যেতে পারে।”

এবছর ভেন্যু ইনচার্জ হিসাবে একজন সরকারি আধিকারিক নিয়োগ করা হবে। তাঁর কাছেই থাকবে মোবাইল রাখার আলমারির চাবি। পদস্থ আধিকারিক বলেন, “চাবি ভেন্যু ইনচার্জের কাছেই থাকবে।” মোবাইল থাকবে তিনজনের কাছে। অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজ়ার SMS করার জন্য মোবাইল রাখতে পারবেন। আর ভেন্যু ইনচার্জ যেহেতু বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন, তাই তাঁর কাছে থাকবে ফোন। প্রধান শিক্ষক ভেন্যু সুপারভাইজ়ার। তাঁর কাছেও মোবাইল থাকবে।”

মোবাইল রুখতে পর্ষদের এই পদক্ষেপগুলি নিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে এখনও কিছু বলতে চাননি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সব তথ্য জানাবেন বলে জানান।

Last Updated : Feb 10, 2019, 5:20 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details