কলকাতা, 4 মার্চ : রসিকা মৃত্য়ুরহস্যে নয়া মোড় ৷ পুলিশের তদন্তে উঠে এলে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব ! কলকাতা পুলিশের উইমেন গ্রিভান্স সেলের আধিকারিকদের দাবি, পুরানো প্রেম ফিরে এসেছিল রসিকার স্বামী কুশলের জীবনে ৷ তবে কি এর জেরেই অকালে চলে যেতে হল রসিকা জৈনকে ? আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷
গত 16 ফেব্রুয়ারি রাতে আলিপুরের একটি অভিজাত আবাসনের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় রসিকা জৈনকে পড়ে থাকতেন দেখেন এক আবাসিক ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বোঝা যায়, বহুতল থেকে পড়ে প্রাণ গিয়েছে ওই তরুণীর ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, এটি নিছকই দুর্ঘটনা ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ছিল তেমনই ইঙ্গিত ৷ বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল, অসবাধনতাবশতই উপর থেকে নীচে পড়ে যান যুবতি ওই গৃহবধূ ৷ তার জেরেই প্রাণ হারাতে হয় তাঁকে ৷
কিন্তু পুলিশের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ রসিকার বাপের বাড়ির সদস্যরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, উচ্চবিত্ত ব্য়বসায়ী পরিবারে বিয়ে হলেও সুখী হননি রসিকা ৷ তাঁর স্বামী কুশল জৈন মাদকাসক্ত ৷ স্বামীর এই আসক্তি কখনই মেনে নিতে পারেননি রসিকা ৷ ফলে, অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা ৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো হতই, এমনকী রসিকাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্য়রা মানসিক অত্যাচার করতেন বলেও অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির ৷
এই পরিস্থিতিতে 16 ফেব্রুয়ারি রাতেই রসিকার পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁদের দাবি ছিল, রসিকাকে খুন করা হয়েছে ৷ সত্যিটা আসলে কী, তা জানতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ তদন্তভার হাতে নেয় লালবাজার ৷
সেই তদন্তের কাজ চলাকালীনই প্রকাশ্য়ে আসে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব ৷ কলকাতা পুলিশের উইমেন গ্রিভান্স সেলের আধিকারিকরা জানতে পারেন, বিয়ের আগে অন্য় এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কুশলের ৷ সম্প্রতি তিনি ফিরে আসেন কুশলের জীবনে ৷ নতুন করে শুরু হয় সম্পর্ক ৷ স্বামীর এই কীর্তির কথা জানতে পেরে যান রসিকাও ৷ এর জেরেই অশান্তি চরমে ওঠে ৷ রসিকার স্বামী কুশলের ফোন ঘেঁটে এই সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷