কলকাতা, 13 এপ্রিল : অপ্রয়োজনে পথে বেরোচ্ছেন অনেকেই । জমায়েত করছেন । লকডাউনের মাঝে কলকাতায় বারবার এই ছবি দেখা গেছে । সেটা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল শহরবাসীর একাংশের মনে । তার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কলকাতা শহরের কয়েকটি জায়গার নাম উল্লেখ করে লকডাউন না মানা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় । তাই এবার আরও সক্রিয় হয়েছে কলকাতা পুলিশ । রাস্তায় বাড়ানো হয়েছে নাকা চেকিং । সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ড্রোনের ।
লকডাউনে কড়া কলকাতা পুলিশ, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি
ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে কলকাতার একাধিক জায়গায় নজরদারি পুলিশের । সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন গলি কিংবা বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব না মানা হলে ড্রোন ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড করা হয়েছে । সেখানে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা । কলকাতার প্রতিটি ডিভিশনে প্রত্যেকটি গাড়ি এবং বাইক থামিয়ে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ । জরুরি প্রয়োজনের প্রমাণ না দিতে পারলে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গতকাল দিনভর এই ছবি দেখেছিল কলকাতা । আজ সকাল থেকেও দেখা গেছে সেই ছবি । উত্তরে কাশিপুর, শ্যামবাজার, বাগবাজার, শোভাবাজার থেকে শুরু করে হাতিবাগান, পূর্বে বেলেঘাটা, ফুলবাগান, নারকেলডাঙা, দক্ষিণে ভবানীপুর, হাজরা, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, কসবা, পশ্চিমে গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ খিদিরপুর, বেহালা, নাদিয়াল সহ একাধিক জায়গায় বাড়ানো হয়েছে নাকা চেকিংয়ের সংখ্যা । এদিকে, ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে চালানো হচ্ছে নজরদারি । শহরের বিভিন্ন গলি কিংবা বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব না মানা হলে ড্রোন ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ ।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিরেক্টর জেনেরাল অফ পুলিশকে । চিঠিতে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মানার হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় । কলকাতার যেসব জায়গাগুলির নাম উল্লেখ করা হয় সেগুলি হল রাজাবাজার , নারকেলডাঙা, তপসিয়া, মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ , একবালপুর এবং মানিকতলা । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অসন্তোষের যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে তার প্রমাণ শনিবার রাতের একটি ঘটনা । রাজাবাগান এলাকায় একের পর এক বাইক চলছিল । সেই খবর পেয়ে পুলিশ মহল্লায় ঢুকে পড়ে । সেখানে দেখা যায় লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । লকডাউনের চিহ্নমাত্র নেই । পুলিশ দেখে প্রথমে অবশ্য যে যার মতো লুকিয়ে পড়ে । তারপরই তারা বেরিয়ে ইট ছুড়তে থাকে । সেই ঘটনায় পরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।