কলকাতা, 3 অগস্ট: আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল ৷ কিন্তু, রদবদলের অংক বিশ্লেষণ করলে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণেও বদলের ইঙ্গিত স্পষ্ট ৷ দলের ভিতরে সাংগঠনিক ভাবে ক্রমশ শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Impact of Abhishek Banerjee in Expanded State Cabinet) ৷ একদা ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ বলে পুরনো নেতাদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দলনেত্রীও এখন সাবধানী ৷ বিশেষ করে সংগঠনে রদবদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি ৷
গত সোমবার তৃণমূলের প্রকাশ করা জেলা সভাপতিদের তালিকাতেই সেই প্রভাব স্পষ্ট ৷ এ বার মমতার মন্ত্রিসভাতেও অভিষেকের প্রভাব দেখা যাচ্ছে ৷ অন্তত রাজনীতির কারবারিরা তেমনটাই মনে করছে ৷ তাঁদের মতে, এখনও পর্যন্ত দফতর অনুযায়ী যাঁদের নাম মন্ত্রী হিসাবে উঠে আসছে, তাতে অভিষেকের প্রভাব রয়েছে বলেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসে এক ব্যক্তি একপদ চালু করার পর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধাক্কা খেতে হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্নে ৷ মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মন্ত্রীদের মধ্যে ফিরহাদ অন্যতম ৷ তিনি একাধারে পরিবহণ মন্ত্রী, আবাসনমন্ত্রী, তিনিই আবার পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর হাতে রয়েছে, কলকাতার মেয়রের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও ৷ প্রকাশ্যে না বললেও শোনা যায়, একজন নেতার এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকড়ে বসে থাকাতে সমর্থন ছিল না অভিষেকের ৷ কিন্তু, অতীতে এর বিরুদ্ধে তিনি সরব হলেও বিশেষ লাভ হয়নি ৷