কলকাতা,15 ফেব্রুয়ারি : শাহিনবাগ, পার্কসার্কাসে আন্দোলন ইশুতে বিতর্কিত মন্তব্য BJP-রাজ্য সভপতি দিলীপ ঘোষের ৷ আজ ICCR-এ BJP-র সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি বলেন,"শাহিনবাগ ও পার্কসার্কাসে কিছু অশিক্ষিত মানুষকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। বিদেশিদের পয়সায় ওদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হচ্ছে।"
ICCR-এ BJP-র সাংগঠনিক বৈঠক দিল্লি নির্বাচনের আগে শাহিনবাগ ইশুতে কড়া অবস্থান নেয় BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের "মিনি পাকিস্তান","দেশদ্রোহী" আখ্যা দেন BJP নেতারা । এক নেতা তো আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার নিদানও দেন । কিন্তু দিল্লি নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর BJP নেতা অমিত শাহ স্বীকার করেন, গুলি মারোর মতো বক্তব্যের জন্যই দিল্লিতে BJP-র বেশি সংখ্যক আসন জেতার সুযোগ কমেছে ।
দিলীপ ঘোষ আজ ICCR-এ বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,"দিল্লি থেকে কিছু রাষ্ট্রীয় নেতা বৃন্দা কারাট থেকে চিদাম্বরম পার্ক সার্কাসে এসে ভাষণ দিচ্ছেন । তাঁদের জন্য কোনও নিয়ম-কানুন নেই । CAA-এর বিরোধিতায় এঁদের বক্তব্য শোনার জন্য ওই সব অশিক্ষিত মহিলা ছাড়া আর কেউ নেই । আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির রুটি সেঁকছেন।"
CAA-র সর্মথনে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষের আরও সংযোজন, "সংসদে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করছেন সংবিধানের শপথ নেওয়া কয়েকজন মন্ত্রী-সাংসদ । এটা উচিত নয় ৷ আইন বিরোধী কাজ করছেন সেই সব আইনসভার সদস্যরা ৷" বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একহাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, "যে সমস্ত বুদ্ধিজীবিরা কাগজ দেখাব না বলে কবিতা লেখেন, তাঁরাই সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য সবার আগে কাগজ দেখান ।" ঐশী ঘোষকে বলেন, "দিল্লি থেকে কে এক মহিলা নেত্রী এসেছেন । সে না কি CPI(M)-এর নেত্রী হবেন । এর আগে কানহাইয়া কুমার বলে একজন এসেছিলেন । তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলছে বাংলায় গণতন্ত্র আছে । সেটা BJP-ছাড়া অন্য দলের জন্য । ঐশী ঘোষ না কি সেখানে সেখানে সভা করতে পারবেন ৷ তাকে কেউ বাধা দেবে না । এখানে রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হয় । রোহিঙ্গাদের স্বাগত জাননো হয় । পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এলে তাঁকে কিছু বলা হবে না । কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী এলে তাঁকে কালোপতাকা দেখানো হয় । বাংলায় এটাই নতুন ফ্যাশান ৷ সুরক্ষার মধ্য থেকে অসুরক্ষরিত হওয়ার ফ্যাশান। "