কলকাতা, 30 জুন: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ সত্ত্বেও অধিকাংশ চিট ফান্ডের (Chit Fund) আমানতকারীরা এখনও টাকা ফেরত পাননি ৷ সেই টাকা ফেরতের দাবিতে 1 কোটি মানুষের জমায়েত করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে শীঘ্রই পথে নামছেন প্রতারিতরা ৷ আর তাঁদের পাশে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গ্রেফতারের দাবি তুললেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ৷
বিভিন্ন চিট ফান্ডে জমা রাখা টাকা ফেরতের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে চিট ফান্ড সাফারার্স ইউনাইটেড ফোরাম ৷ আগামী 4 জুলাই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে জমায়েতের ডাক দিয়েছে তারা ৷ রাজনৈতিক রং ভুলে সমস্ত প্রতারিতদের ওই জমায়েতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:TMC Agitation: শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে সিজিও-র সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল ছাত্র-যুবদের
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্টদের দাবি, চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত আমানতকারী, এজেন্ট মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত অন্ত 250 জন আত্মহত্যা করেছেন ৷ অথচ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ৷ তদন্তে ঢিলেমি হচ্ছে ৷ এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় 250 কোটি টাকা রাজ্য সরকার অন্য খাতে খরচ করে ফেলেছে ! এই প্রসঙ্গ তুলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "প্রতারিতদের টাকা ফেরাতে মামলা হলে রাজ্য সরকার সেই মামলায় সিবিআই তদন্ত এড়ানোর চেষ্টা করে ৷ অথচ, মামলাটি আদৌ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না ৷ তাহলে কেন রাজ্য সরকারের এই ভুমিকা ? তা সকলের জানা উচিত ৷"
মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার দাবি আব্দুল মান্নানের ৷ অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথার রেশ টেনে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রীর এতটাই প্রতিভা যে তাঁর আঁকা ছবি প্রায় 1 কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল ৷ কই তারপর তো আর মুখ্যমন্ত্রী ছবি আঁকলেন না !" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদ যাদব, জয় ললিতা গ্রেফতার হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন গ্রেফতার হবেন না ! তাঁকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে ৷"
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "চিন্ড ফান্ডে প্রায় 10 কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ কিন্তু, তাঁরা নানা কারণে একত্রিত হতে পারছেন না ৷ এই কারণেই প্রতারিতরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ৷ তাই, রাজনৈতিক রং ভুলে কমপক্ষে 1 কোটি মানুষের জমায়েত করতে পারলে মোদি, মমতা ভয় পাবেন ৷ তদন্তকারীরা দ্রুত কাজ শুরু করবেন ৷ তাই সকলকেই ঐক্যবব্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি ৷"