কলকাতা, 19 অগস্ট:বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব যা পেরেছেন, তা পারেননি উত্তরপ্রদেশের নেতাজি অর্থাৎ মুলায়ম সিং যাদব । রাজনীতির কারবারিরা বলেন, দেশের পাওয়ার পলিটিক্স বরাবরই কিছু চমক নিয়ে আসে । সেই চমক কখনও কখনও শুধু শিরোনাম হয় না, নতুন ইতিহাসের জন্ম দেয় । ঠিক যেভাবে মুলায়ম সিং যাদবকে সরিয়ে অখিলেশ যাদবের ক্ষমতা দখল করা একটা ইতিহাসের জন্ম দিয়েছিল ।
তবে বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের ক্ষেত্রে তৎকালীন আরজেডি সুপ্রিমো দুর্নীতির মামলায় জড়িয়ে পড়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি সেভাবে আলোচনার বিষয় হয়নি । কিন্তু দুই প্রজন্মের মধ্যে ক্ষমতার হস্তান্তর সর্বদা সুখের নয় । অন্তত ইতিহাস তো সে কথাই বলছে । রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাতে যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন এ কথা বলা যাবে না । তবে তৃণমূল কংগ্রেসে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে দুটি ক্ষমতার ভরকেন্দ্র তৈরি হয়েছে । কোথাও নীতিগতভাবে ক্যামাক স্ট্রিট এবং কালীঘাটের মধ্যে অবস্থানের ভিন্নতা দলের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তাই নিয়ে একটা লড়াই দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই । রাজনৈতিক মহলের মতে, 'নতুন তৃণমূল' আসলে দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখার কৌশল ।
'ছয় মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল' বলে প্রচার হোর্ডিং (New TMC Hoarding) কি শুধুই অতি উৎসাহী তৃণমূল সমর্থকদের হুজুগে প্রচার ? বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা শিক্ষক অমল মুখোপাধ্যায় কিন্তু এমনটি মনে করছেন না । বিগত কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের অন্দরেই সংস্কারের স্রোত চলছে । তার মধ্যে দলের ক্ষমতা দখলের একটা প্রয়াস রয়েছে । সেটাই আজকের নতুন তৃণমূল । তিনি মনে করছেন, এ ধরনের ভিন্ন ভাবনা আগামী দিনে দলকে বিভাজিত করতে পারে । 6 মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূলের এই প্রচারের মাধ্যমে নিজের নাম ব্যবহার না করে শক্তি প্রদর্শনের একটা প্রয়াস রয়েছে ।