কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : এক শিক্ষিকার বেতন সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়৷ ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে৷ কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না, সেই জবাবও চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ একই সঙ্গে অবিলম্বে ওই শিক্ষিকার কয়েক মাসের বকেয়া বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
আদালত সূত্রে খবর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে পড়াতে যান৷ তিনি সঙ্গীত ভবনের শিক্ষিকা৷ 2014 সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি যা বেতন পেতেন, তার থেকে অনেক বেশি বেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত হন। কিন্তু 2018 সালে বিদ্যুৎকুমার চক্রবর্তী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর জানান যে ওই শিক্ষিকাকে অনেক বেশি বেতন দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় 14 লক্ষ টাকা ওই শিক্ষিকাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের গোড়ার দিকে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে এই মামলার রায়ে বিশ্বভারতীকে সমস্ত বকেয়া মেটাতে বলা হয়৷
এর পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি। শিক্ষিকার প্রায় পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া থাকলেও তাকে মাত্র দু’মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী।