কলকাতা, 16 মে : এক্সটরশন ৷ বাংলায় সহজ করে বললে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় ৷ এই ধরনের অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসে ৷ কিন্তু তারই সঙ্গে ইদানীং বাড়ছে সেক্সটরশনের অভিযোগও (Sextortion allegations are now increasing in Bengal) ৷ যার জেরে কেউ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, তো কেউ কেউ সামাজিক লজ্জা থেকে বাঁচতে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন ৷
মাসখানেক আগে হুগলির এক সিপিএম নেতা সেক্সটরশনের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ কখনও কখনও সাধারণ মানুষ ৷ আবার কখনও স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারাও শিকার হচ্ছেন এই অপরাধের ৷ তাই এই বিষয়ে আরও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে ৷
কীভাবে চলছে এই সেক্সটরশনের কাজ ?
সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং ইথিক্যাল হ্যাকার মহম্মদ রেজা আহমেদ ইটিভি ভারতকে জানালেন, প্রথমেই ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপ থেকে বন্ধুত্ব । এরপর ফোনের ওপারে থাকা মহিলা কিংবা পুরুষ সঙ্গী একে অপরের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ধীরে ধীরে ভিডিয়ো কলিংয়ের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু করেন । এরপর এই ভিডিয়ো কলিংয়ের সময় উলটো প্রান্তে থাকা পুরুষ বা মহিলা সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে যাচ্ছেন ৷ এপারে যিনি থাকছেন, তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওপার থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হচ্ছে ৷ আর সেই স্ক্রিনশটকে হাতিয়ার করেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং ৷