কলকাতা, 27 মে : হুগলির সিঙ্গুর থেকে টাটার ন্যানো কারখানা (Tata Nano Factory) সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জমি আন্দোলনকেই (Mamata Banerjee's Land Movement) বারবার কাঠগড়ায় তোলে বিরোধীরা ৷ কিন্তু সেই মমতার রাজ্য়েই ফের গাড়ি ও স্কুটার তৈরির কারখানা চালু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৷ আর সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এমন একটি সংস্থাকে ঘিরে, যাদের কারখানা একসময় রাজ্যের গর্ব ছিল ৷
ভারতের আইকনিক অটোমেকার হিন্দুস্তান মোটরস (Hindustan Motors) ৷ একসময় তাদেরই গাড়ি তৈরির কারখানা ছিল হুগলির উত্তরপাড়ায় হিন্দমোটরে ৷ 2014 সালে ওই কারখানা বন্ধ হয়ে যায় ৷ সেখানেই এবার রাজ্যের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি ও স্কুটার নির্মাণের কারখানা তৈরির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ৷ আর এই পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই স্বপ্ন দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) । তিনি মনে করছেন, এই ঐতিহ্যবাহী গাড়ি কারখানা আবার কাজ শুরু হলে, তা বাংলার জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে আসবে (Hindustan Motors to make a comeback in Bengal) ।
প্রসঙ্গত, ভারতের আইকনিক অটোমেকার হিন্দুস্তান মোটরস একটি বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক হিসাবে এই সময় ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে ৷ কোম্পানিটি হুগলির উত্তরপাড়ায় হিন্দমোটরের প্ল্যান্টে বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরির জন্য একটি ইউরোপীয় বৈদ্যুতিক যানবাহন কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে জানা গিয়েছে । প্রাথমিকভাবে, কোম্পানি একটি বৈদ্যুতিক স্কুটার চালু করার পরিকল্পনা করছে ৷ যদিও পরবর্তী পর্যায়ে এটি একটি বৈদ্যুতিক গাড়িও আনতে পারে ।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে হিন্দুস্তান মোটরস একটি এমওইউ স্বাক্ষর করেছে । তবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে । হিন্দুস্তান মোটরসের ডিরেক্টর উত্তম বসু জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি বৈদ্যুতিক টু-হুইলার তৈরি শুরু করবে এবং পরে বৈদ্যুতিক গাড়িও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে । তিনি আরও জানান, উদ্যোগটি হিন্দুস্তান মোটরস এবং ইউরোপীয় ইভি কোম্পানির মধ্যে একটি 51:49 যৌথ উদ্যোগ হিসাবে শুরু হবে, যেখানে হিন্দুস্তান মোটরসের হাতেই নিয়ন্ত্রণকারী অংশীদারিত্ব থাকবে ।
তিনি আরও জানান, তাদের 'এইচএম' ব্র্যান্ডে বিদ্যুত্চালিত স্কুটার নিয়ে আসতে চলেছে হিন্দুস্থান মোটরস । এর জন্য প্রাথমিকভাবে 300 থেকে 400 কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে । সেই সঙ্গে হিন্দ মোটরস কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা জমি ও পরিকাঠামো ধরা হলে মোট লগ্নির পরিমাণ প্রায় 1200 কোটি টাকা ।