কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : DA মামলা নিয়ে ফের শুনানির আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট। আজ সকালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত সুপ্রিমকোর্টের একটি রায় উল্লেখ করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের DA সংক্রান্ত একটি রায়ে বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি ও আর ভানুমতির বেঞ্চ রায় দেয় রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সমপরিমাণ DA দিতে বাধ্য নয়। এই রায়টি উল্লেখ করে রিভিউ পিটিশনের পুনরায় শুনানির আর্জি জানানো হয়। কিন্তু আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "যে বিষয়ের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্ট ওই রায় দিয়েছে এখানে সেটা প্রাসঙ্গিক নয়। তামিলনাড়ু ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই রায় দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।" এরপরই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেন।
৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের রিভিউ পিটিশন আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির পর আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট। রিভিউ পিটিশন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিতে শেষদিন রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত আবার বলার চেষ্টা করেন, DA রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার নয়। তিনি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও শেখর ববি শরাফের বিশেষ বেঞ্চে অত্যন্ত বিনয়ীভাবে সুপ্রিমকোর্টের বিভিন্ন রায় উল্লেখ করে বলার চেষ্টা করেন, DA কেন্দ্র বেশি দিচ্ছে না রাজ্য সেটা কী আদৌ বিচার্য?
DA মামলার শুনানি নিয়ে ফের রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টের
DA মামলা নিয়ে শুনানির আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট। আজ সকালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত সুপ্রিমকোর্টের একটি রায় উল্লেখ করেন। তারপরই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেন।
DA রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার। ৩১ অগাস্ট এই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জানায়, DA সংক্রান্ত দুটি বিষয় আগামী দু'মাসের মধ্যে ঠিক করতে হবে SAT(স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)কে। প্রথমটি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র হার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান হবে কি না। আর দ্বিতীয়, রাজ্যেরই কয়েকজন কর্মচারী আছে যারা দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে নিযুক্ত। তারা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারেই DA পান। রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাও কি এদের মতোই পাবেন? এই দুটি বিষয় দু'মাসের মধ্যে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালকে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মতো মামলার শুনানি শেষ হয় ১৫ নভেম্বর। তারপর রাজ্য সরকার আবার হাইকোর্টে বিশেষ শুনানির আবেদন জানায়।