কলকাতা, 31 অগাস্ট : কোরোনার চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যাচ্ছে । যার জেরে এবার অ্যাডভাইজ়ারি ইশু করল স্বাস্থ্য দপ্তর । কীভাবে ওই ফাঁকগুলি পূরণ করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অ্যাডভাইজ়ারিতে । আরও বেশি সংখ্যক কোরোনা রোগীকে যাতে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় সেই লক্ষ্যে দ্রুত ওই ফাঁকগুলি পূরণের কথাও এই অ্যাডভাইজ়ারিতে বলা হয়েছে ।
কোরোনা চিকিৎসায় ফাঁক ? নতুন অ্যাডভাইজ়ারি স্বাস্থ্য দপ্তরের
সুপারিশগুলি যদি যথাযথভাবে মেনে চলা হয় তা হলে আরও রোগীদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে । ওই পরামর্শগুলি মেনে চলা হচ্ছে কি না, পরবর্তী পরিদর্শনের সময় এই প্রোটোকল মনিটরিং টিম তা খতিয়ে দেখবে বলেও এই অ্যাডভাইজ়ারিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ।
স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, একাধিক কোরোনা হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু ফাঁক থেকে যাওয়ার বিষয়টি প্রোটোকল মনিটরিং টিম (PMT)-এর বিশেষজ্ঞ-সদস্যদের নজরে এসেছে । ওই ফাঁকগুলি দ্রুত পূরণের কথা বলেছে এই টিম । এই টিমের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে কোরোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওই ফাঁকগুলি পূরণের জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়েছে । তারা আরও জানিয়েছে, এই সুপারিশগুলি যদি সঠিকভাবে মেনে চলা হয় তা হলে কোরোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলার বিষয়টি আরও উন্নত হবে । অর্থাৎ আরও বেশি সংখ্যক কোরোনা রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে ।
এই প্রোটোকল মনিটরিং টিমের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্য দপ্তরের ইশু করা এই অ্যাডভাইজ়ারি ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি কোরোনা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে । অ্যাডভাইজ়ারিতে সামান্য উপসর্গ রয়েছে অথবা উপসর্গহীন এমন কোরোনা রোগীকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । তবে বাড়িতে সেল্ফ আইসোলেশনে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে । এই কোরোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের কোয়ারানটিনে রাখতে হবে । এই সব রোগীদের শুশ্রুষার জন্য দিন-রাতের ভিত্তিতে কেয়ার গিভার রাখতে হবে ।
স্বাস্থ্য দপ্তরের ইশু করা এই অ্যাডভাইজ়ারিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি সেফ হোমকে কোনও কোরোনা হাসপাতালের সঙ্গে ট্যাগ করতে হবে । ওই হাসপাতালের একই ছাতার নিচে পরিষেবা দিতে হবে । সেফ হোমে থাকা কোনও কোরোনা রোগীর ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে । অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কোরোনা হাসপাতালের কোনও রোগীর ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলে অথবা স্থিতিশীল রোগীকে সেফ হোমে স্থানান্তর করা যেতে পারে । অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা সহ প্রতিটি কোরোনা রোগীর অন্যান্য ক্লিনিক্যাল প্যারামিটারগুলি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং টপ শিটে নথিভূক্ত করতে হবে । অ্যাডভাইজ়ারিতে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, কোরোনা রোগীদের প্রতি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-নার্সদের রাউন্ড দা ক্লক সজাগ থাকতে হবে ।