কলকাতা, 5 জুলাই:মে মাসে হারিয়েছিল মাকে । আর তার ঠিক একমাসের মাথায় চলে গেলেন বাবা । মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা(Mullick Bazar Incident)। যেখানে হাসপাতালের আটতলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল লেকটাউনের বাসিন্দা সুজিত অধিকারীর । এখন শুধু রয়ে গেছেন তার দুই ছেলে(Sujit Adhikari Children) ৷ মা-বাবাকে হারিয়ে তারা অসহায় ৷
তারপর অনেকটা সময় গড়িয়েছে ৷ কিন্তু এত কিছুর মধ্যে চুপ করে ছিল সুজিতের দুই ছেলে শিবম অধিকারী ও ঋষি অধিকারী । কিছু বোঝার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের ৷ নয় আর আড়াই বছর বয়সের শিশুদের এখন সম্বল বলতে দুই দিদা ৷ মা ও বাবাকে হারিয়ে জীবন কাটছে তাঁদের সঙ্গেই । এর মধ্যে বাবার শ্রাদ্ধের সমস্ত কাজও সেরে ফেলেছে ছোট্ট শিবম ।
তবে সব কিছু সারা হলেও আটকে গিয়েছিল তাদের স্কুল যাওয়া । নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টি পারপাস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিবম । মা বাবার হাত ধরে এ বছরেই ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সে । কিন্ত এখন দুই দিদা ছাড়া তাদের আর কেউ নেই । কীভাবে চলবে দুই ভাইয়ের পড়াশোনা ?
আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই নজির গড়লেন নারায়ণ দাস বাঙ্গুল মেমোরিয়াল মাল্টি পারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া । পাশে এসে দাঁড়ালেন এই দুই শিশুর ৷ ছাত্রকে স্কুলে ফেরানোর জন্য নিজের কাঁধে তুলে নিলেন দায়িত্ব । সুজিত অধিকারীর বাড়ি গিয়ে তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে শিবমকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন প্রধান শিক্ষক নিজেই (Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children) ।