কলকাতা, 22 ডিসেম্বর : নতুন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন কৃষকদের কাছে মৃত্যু পরোয়ানা । অন্যায়ভাবে পার্লামেন্টে পাশ করা হয়েছে এই তিনটি আইন । আইন বাতিলের দাবি থেকে পিছু হটছেন না, জানিয়ে দিলেন এআইকেএস-এর সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা ।
কৃষকদের উপর এই তিনটি নতুন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের নেতৃত্বে প্রথম সারিতে রয়েছেন সারা ভারত কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা । ইতিমধ্যে আন্দোলনের শুরুতেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর-ও । কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন প্রাক্তন বাম সাংসদ । সিঙ্ঘু সীমান্তে হান্নান মোল্লা-সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ক্রমাগত অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন । ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, "আমাদের দেশ কৃষিভিত্তিক । সেখানে সরকার চাইছে কর্পোরেট ভিত্তিক কৃষি । কৃষকদের উপর জবরদস্তি চাপানো হয়েছে এই আইন । কৃষকদের কাছে যা মৃত্যু পরোয়ানার সমান । অন্যায়ভাবে পার্লামেন্টে পাশ করা হয়েছে এই তিনটি আইন ।"
দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ বিভিন্নভাবে এই আন্দোলন তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে । এমনকী কোরোনা বিধিভঙ্গের দায়ে গ্রেপ্তারির হুমকিও দেওয়া হয়েছে । কিন্তু, কিছুতেই তাঁদের অবস্থান থেকে টলানো যায়নি কৃষকদের । এদিকে একাধিকবার আলোচনায় বসলেও আইন বাতিল না করার সিদ্ধান্তে অনড় কেন্দ্রও । এই প্রসঙ্গে সমাধানের কোনও মধ্যপন্থা আছে কি-না প্রশ্নের উত্তরে হান্নান মোল্লা বলেন, "যখন আমরা 'দিল্লি চলো'-র ডাক দিই, তখন হরিয়ানা ও দিল্লির বর্ডার সিল করে দেওয়া হল । আমরা কোনওরকম হিংসা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই । লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলন চলতে থাকে । আলোচনায় বসতে রাজি হয় সরকার । কিন্তু, প্রত্যেক আলোচনাতেই সরকার নিজের কথাই বলছে । এই সরকার কৃষকবিরোধী । তাই সমাধানের কোনও মধ্যপন্থা নেই । ব্যবসায়ীদের গোলামি করা কৃষকবিরোধী আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে ।"
আরও পড়ুন : আরও আলোচনা চায় কেন্দ্র, দিন ঠিক করতে কৃষক সংগঠনগুলিকে চিঠি