কলকাতা, 17 জুলাই: শহরে ফের উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু (Model died by Suicide)। এ বার ঘটনাস্থল বাঁশদ্রোণী থানার উল্টো দিকের একটি বহুতল । জানা গিয়েছে, ওই বহুতলেই থাকতেন 19 বছরের পূজা সরকার ৷ এ দিন তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর । প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দাদের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা (Hanging body of a model recovered)।
পুলিশ জানিয়েছে, পূজা উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা (Bansdroni suicide)৷ তিনি গোবরডাঙার হিন্দু কলেজে ছাত্রী ছিলেন । পাশাপাশি তিনি মডেলিংও করতেন । তদন্তে নেমে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণী এবং তার বান্ধবী ছাড়াও আরও দুই যুবক মাঝেমধ্যেই ওই ফ্ল্যাটে আসত । কিন্তু ওই দুই যুবক কারা বা তাঁদের পরিচয় কী সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি । এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই সেই ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার চেঁচামেচি হই-হট্টগোলের শব্দ তাঁদের কানে আসত । তবে এই ঘটনার পর থেকেই ওই মডেলের দুই পুরুষ বন্ধু রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন । তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে বাঁশদ্রোণী থানার তরফে (Kolkata unnatural death)।
মাস 6 আগে এক বান্ধবীর সঙ্গে বাঁশদ্রোণী এলাকার একটি বহুতলে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন পূজা । ইতিমধ্যেই তাঁর সেই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মডেলের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী মাস 6 ধরে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন । গতকাল রাতে থানায় ফোন করে তাঁর বান্ধবী পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানান । রাতেই ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক । ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তে প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে ৷
আরও পড়ুন:আত্মহত্যার কারণ মানুষটার সঙ্গেই চলে যায়, বলছেন মনোবিদ সন্দীপ্তা
ঘটনাস্থলে রাতেই যান কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই উঠতি মডেলের দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না । তবে তাঁর গলায় একটি কালশিটে দাগ ছিল । এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে । তদন্তে নেমে পুলিশকে যে বিষয়গুলি ভাবাচ্ছে তা হল ওই তরুণীর বন্ধু একই ফ্ল্যাটে থাকতেন । তাহলে তাঁর বন্ধু যখন আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন, সেই সময় কেন তাঁকে বাধা দেওয়া হল না ? তাঁর সঙ্গে কি পূজার কোনও ঝামেলা হয়েছিল ? ইতিমধ্যেই মৃতার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ । তিনি মৃত্যুর আগে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।