কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিঃসঙ্গতা কাটাতে তাঁদের হাতে বই তুলে দিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ৷ আজ বইমেলা প্রাঙ্গণে গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে নিউটাউনের স্নেহদিয়া বৃদ্ধাশ্রমের কয়েকজন আবাসিকের হাতে বই তুলে দেন ৷ উপস্থিত ছিলেন গিল্ড সভাপতি ও লেখকরা ৷
বই এমনই এক সঙ্গী, যাকে পেলে মানুষের সব নিঃসঙ্গতা কেটে যায় ৷ বইয়ের নেশায় মানুষ একাকী থাকতে চায় ৷ শিশু বয়স থেকে যে গল্পের বইয়ের পাতায় চোখ আটকে যায়, বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে সেই চোখই নিঃসঙ্গতা কাটাতে বইয়ের পাতা খোঁজে ৷ বইপ্রেমীদের আবেগের আরেক নাম কলকাতা বইমেলা ৷ মধ্যবয়সের দিকে পা দিতে চলা কলকাতা বইমেলা আজও বইপ্রেমীদের কাছে সমান আকর্ষণীয় ৷ হাজারো স্টলের ভিড়ে নিজের পছন্দের বই কিনে নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফেরার চেনা ছবিটা প্রতি বছর বইমেলায় ফিরে ফিরে আসে ৷ কিন্তু সবার পক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে আসা হয়ে ওঠে না ৷ বয়স্কদের এই সমস্যা বেশি ৷ পরিবারের হাত ধরে যদিও বা কেউ আসেন, কিন্তু বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের আর তা হয়ে ওঠে না ৷ তাই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এই মানুষগুলির সুবিধার্থে এগিয়ে এল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ৷ 44তম আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরুর আগেই গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রথমবার তারা শহরের বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে বই দেবে ৷ বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জীবন নিঃসঙ্গতায় কাটে ৷ একাকী মানুষগুলির শেষ জীবন যাতে সঙ্গীহারা হয়ে না কাটে, তাই তাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গিল্ড ৷ কারণ, বইয়ের থেকে ভাল সঙ্গী আর হতে পারে না ৷ আজ বইমেলা প্রাঙ্গণে নিউটাউনের স্নেহদিয়া বৃদ্ধাশ্রমের কয়েকজন আবাসিকের হাতে বই তুলে দেন গিল্ড সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে, লেখক প্রচেত গুপ্ত, লেখিকা কাবেরী রায়চৌধুরি সহ অন্য বিশিষ্টরা ৷