কলকাতা, 7 অগস্ট: গল্ফগ্রিনের (Golf Green Case) আজাদগড়ের যুবক দীপঙ্কর সাহার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে (Post mortem report of Dipankar Saha)৷ সেখান থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে দীপঙ্করের শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন ছিল তা ঘটনা ঘটার দু থেকে তিন দিন আগেকার । পাশাপাশি রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, দীপঙ্কর সাহার দেহে যে আঘাত ছিল, তাঁর মৃত্যুর জন্য সেই আঘাত যথেষ্ট নয় ।
প্রথম থেকেই দীপঙ্কর সাহার পরিবারে তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ গত রবিবার দুপুরে দীপঙ্কর সাহাকে তাঁর আজাদগড়ের বাড়ি থেকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে মারধর করে । পুলিশের মারধরের ফলেই দীপঙ্করের মৃত্যু হয়, এমনটাই অভিযোগ করে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিল দীপঙ্করের পরিবার । সেই ঘটনায় মৃত দীপঙ্কর সাহার দেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার আগেই সংশ্লিষ্ট থানার সার্জেন্ট, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং একজন কনস্টেবল - মোট তিনজনকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার ।
আরও পড়ুন: যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সার্জেন্ট-সহ ক্লোজ 3
আইপিএস মহলের এক অংশের দাবি, হাওড়ার আমতায় আনিশ খান রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে বিনা নোটিশে আনিস খানকে বাড়ি থেকে তুলতে আসে পুলিশ এবং অভিযোগ ছিল পুলিশের সঙ্গে সেখানেই ধস্তাধস্তি হয় তাঁর ৷ পুলিশকর্মীরাই নাকি আনিশস খানকে ছাদ থেকে ছুড়ে নিচে ফেলে হত্যা করেছিল বলেও অভিযোগ ওঠে । তবে আমতা থানার এই ঘটনায় পরবর্তীকালে ভবানীভবনের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে তদন্ত করা হয় এবং সেই তদন্তের রিপোর্টে বলা হয় উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল আনিস খানের । কিন্তু পুলিশ যেভাবে বিনা প্ররোচনায় এবং আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে আনিস খানকে রাতের বেলা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসতে গিয়েছিল সেটি ন্যায্য ছিল না । এই ঘটনার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়ে যায় ৷ পরবর্তীকালে চাপের মুখে পড়ে আমতা থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর ইনচার্জকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এছাড়াও এই ঘটনায় তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ।
আইপিএস মহলের একাংশের দাবি, আমতা থানার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে কলকাতা শহরে না হয় তার জন্যই তড়িঘড়ি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তাঁদের ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার ।