কলকাতা, 28 অগস্ট : পুলিশের ডিউটি, তার আবার ডিউটি আওয়ার্স ! সময় মেপে কাজের বালাই পুলিশের চাকরিতে যে থাকে না, সেকথা কারওরই অজানা নয় ৷ তবে ডিউটির ফাঁকেই কখনও সখনও একটু জিরিয়ে নেওয়ার ফুসরত মেলে ৷ আর ঠিক সেই সময়েই যদি হয় ভূতের উপদ্রব ? ভাবছেন এমন কথা কেন বলছি ? অনেকেই বলবেন, ধুর ৷ ফালতু কথা ৷ ভূত বলে আবার কিছু হয় নাকি ! দেখুন, ভূত বলে হয় কি না হয়, সেই সিদ্ধান্তে আসা আমাদের কম্ম নয় ৷ তবে ভূতুড়ে কাণ্ডের সুলুক সন্ধানে তো আপত্তি নেই ৷ বরং অনেকের কাছে সেটা বেশ মজার ৷ কারও কাছে তা আবার নিরেট সিরিয়াস বিষয় ৷ ঠিক যেমনটা ভাবেন ‘ডিটেক্টিভস অফ সুপারন্যাচব়্যাল’-এর সদস্যরা ৷ ভূতের খোঁজে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়োনোই তাঁদের নেশা এবং পেশা ৷ আর এই কাজই তাঁদের পৌঁছে দিয়েছিল জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডে ৷ যেখানে নাকি মাঝেমধ্যেই নেত্য করেন ‘তেনারা’ !
আরও পড়ুন :Horror In Hostel : ভূতুড়ে কাণ্ডে হস্টেলই হানাবাড়ি, ভয়ে কাঁটা ছাত্রীরা
পুলিশ মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, কলকাতার হানাবাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের এই বহুতল ৷ বাড়িটি শতাব্দীপ্রাচীন ৷ তার আদলে বেশ একটা রাজকীয় ধাঁচ রয়েছে ৷ সূত্রের দাবি, এই বাড়িতেই নাকি অনেক অদ্ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে পুলিশের কর্মী ও কর্তাদের ৷ কখনও মনে হয়, কেউ বুঝি কানের কাছে এসে ফিসফাস করছে ৷ ডিউটি সেরে কেউ হয়তো একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন ৷ দু’চোখের পাতা লেগে এসেছে ৷ হঠাৎই মনে হল কেউ কষিয়ে চড় মারল গালে ! তাতেই ঘুমের দফারফা ৷ অথচ চোখ খুললেই ধাঁ ! কেউ কোথাও নেই ৷ আবার কখনও মনে হয়, মাথার উপর বুঝি আস্ত বাড়িটাই ভেঙে পড়ল ! তবে এসবই কিন্তু কানাঘুষো ৷ পুলিশের কোনও সদস্যই প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন ৷
তাহলে কি ভূতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করবে পুলিশ ? তা আবার হয় নাকি ? যাঁদের হাতে তাবড় খুনে, ডাকাতরাও শায়েস্তা হয়ে যায়, সেই তাঁরাই কিনা ভূতের তাণ্ডব সহ্য করবেন মুখ বুজে ? কিছুতেই না ৷ তাহলে এই উৎপাতের উৎস কী ? তার হদিশ পেতেই ‘ডিটেক্টিভস অফ সুপারন্যাচব়্যাল’-এর দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুলিশ ৷ তাদের বলা হয়, ভূত বাবাজি যদি থেকেই থাকে, তবে তাকে খুঁজে বের করা হোক ৷