কলকাতা, 9 অক্টোবর :বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja) ৷ বছরভর বাঙালি পৃথিবীর যে প্রান্তেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকুক না কেন, পুজোর সময় তারা ঘরে ফেরে ৷ উৎসবের টানে শিকড়ে ফেরার তোড়জোড় শুরু হয় ৷ এ যেন পুজোরই অঙ্গ ৷ ঘরে ফেরার আনন্দ ৷ তবে সময় এখন অনেক পাল্টেছে ৷ ব্যস্ততা বেড়েছে ৷ বেড়েছে কাজের চাপ ৷ তাই পুজো এলেও বহু বাঙালির আর আগের মতো ঘরে ফেরা হয় না ৷ উৎসবে গা ভাসানো হয় না ৷ সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পাড়ে বসেই একরাশ মনকেমন নিয়ে পুজো কাটিয়ে দিতে হয় ৷ তার উপর এখন আবার অতিমারির ছোবল ৷ ইচ্ছে থাকলেও ঘরে ফেরার উপায় নেই ৷ এইসব উৎসব-বঞ্চিত প্রবাসী বাঙালির কথা মাথায় রেখেই অম্বরীশ মজুমদার (Ambarish Majumdar) লিখে ফেলেছেন এবারের পুজোর গান ৷ আর সেই গানে পুজোর সময় বাঙালির ঘরে ফেরার নস্ট্যালজিয়াকে আরও উস্কে দিয়েছেন সুরকার রাতুল শঙ্কর (Ratul Shankar) ৷ গানটি গেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi), অনুপম রায় (Anupam Roy), ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty) এবং লগ্নজিতা চক্রবর্তী (Lagnajita Chakraborty) ৷
আরও পড়ুন :Mamata Banerjee : রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মহাচতুর্থীতে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
রাতুলের কথায়, ‘‘আমি ছোটবেলা থেকেই পৃথিবীর নানা জায়গায় ঘুরেছি ৷ কখনও তিনমাস, কখনও আবার এক সপ্তাহ বাইরে থেকে ঘরে ফেরার যে কী আনন্দ, তা আমি বুঝি ৷ তাই বহু বাঙালির পুজোর সময় ঘরে না-ফিরতে পারার কষ্টটা বুঝতে পারি ৷ এই গানের সুরেও তাই একটা বিষণ্ণতা রেখেছি ৷ আর পাঁচটা পুজোর গানের থেকে যা অনেকটাই আলাদা ৷ রূপঙ্করদার সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ ৷ খুব ভাল লেগেছে কাজ করে ৷ অনুপম, ইমন, লগ্নজিতা, এঁরা সবাই আমার খুব প্রিয় মানুষ ৷ গুণী শিল্পী ৷ সকলের সঙ্গে কাজ করেই খুব আনন্দ পেয়েছি ৷’’
বন্ধু রাতুলের সঙ্গে কাজ করে খুব খুশি অনুপম রায়ও ৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছরই তো পুজোয় নতুন গান গাই ৷ কিন্তু এবার এই পুজোর গানটা আমার কাছে খুব স্পেশাল ৷ রাতুল চমৎকার সুর দিয়েছে ৷ জমজমাট পুজোয় ঘরে ফেরার যে টান, শিকড়ে ফেরার যে টান, তা খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে গানের মধ্যে দিয়ে ৷’’