কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর : কথা ছিল, বিপক্ষ দুষ্কৃতীদলের মাথা জেলের বাইরে পা রাখলেই তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিতে হবে ৷ কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শেষ করতে হবে অপারেশন ৷ তারপর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ছাড়তে হবে এলাকা ৷ দুষ্কৃতীদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের কারারক্ষী এবং কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার সদস্যরা ৷ তাঁদের তৎপরতাতেই ধরা পড়ে গেল 26 জন দুষ্কৃতী ৷ প্রাণ বেঁচে গেল তাদের টার্গেট কুখ্য়াত গ্যাংস্টার মুন্না পান্ডে ৷
আরও পড়ুন :ভয়াবহ জামতাড়া গ্যাংকে রুখতে লালবাজারের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’
ঠিক যেন সিনেমার প্লট ৷ সত্যি বলতে কী, শুক্রবার যে ঘটনা ঘটল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বাইরে, তা বোধ হয় সিনেমাকেও হার মানায় ৷ এদিন জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল মুন্না পান্ডের ৷ দাগী আসামি মুন্না কসবা বোসপুকুরের ত্রাস ৷ তার শত্রুদের তালিকায় শুধু পুলিশ নয়, রয়েছে এলাকার বিপক্ষ দুষ্কৃতী গোষ্ঠীও ৷ তার মতোই কসবার আর এক কীর্তমান হল পাপ্পু ৷ দীর্ঘদিন ধরেই তার নিশানায় রয়েছে মুন্না ৷ সূত্রের খবর, মুন্নাকে খুন করতে নাকি ওঁৎ পেতে আছে পাপ্পু ৷ সুযোগ পেলেই শেষ করে দেবে প্রতিপক্ষকে ৷ শুক্রবার যে মুন্না জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে, সে খবর পাপ্পুর কাছেও পৌঁছে গিয়েছিল ৷ আর সেই মতোই মুন্নাকে চিরকালের মতো সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে ৷