কলকাতা, 7 অক্টোবর : দুর্গাপুজোর আগেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ফুড টেস্টিং ল্যাবের উদ্বোধন করলেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ৷ হোটেল, রেস্তরাঁয় খাবারের গুণগতমান সঠিক রয়েছে কি না ? ফুটপাতের খাবারের দোকান হোক বা পাঁচতারা হোটেলের খাবার, তা কতটা নিরাপদ শরীরের জন্য ? এই খাবারগুলিতে কোনও ভেজাল রয়েছে কি না ? খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না ? সেই সব তথ্য এবার খুব সহজেই জানতে পারবে পুর কর্তৃপক্ষ ৷
কলকাতায় পুজোর আগেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে শুরু হয়েছে ৷ এই সেন্ট্রাল ফুড সেফটি ল্যাবরটরি তৈরি করেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ 1200 বর্গ ফুট নিয়ে 1A-হগ স্ট্রিটে এই সেন্ট্রাল ফুড ল্যাবরেটরি তৈরি হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে 15 দিনের মধ্যেই হাতে পাওয়া যাবে এই ল্যাবরটরি থেকে খাদ্য ও খাদ্য সামগ্রীর সম্পূর্ণ রিপোর্ট ৷ সরকার ও কলকাতা পৌরনিগম যৌথভাবে 8 লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই ল্যাবরেটরি তৈরি করেছে ৷
পুজোর আগে কলকাতায় চালু হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি আরও পড়ুন : Durga Puja: পুজোর শহরে বিকল সিসিটিভি, সারাইয়ের উদ্যোগ লালবাজারের
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রাস্তার ধার থেকে কেনা খাবারের গুণমান নিয়ে সন্দেহ হলে, সঙ্গে সঙ্গেই সেই খাবার পরীক্ষার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন গ্রাহকরা ৷ এর জন্য পুজোর চার দিন রাস্তায় থাকবে পৌরনিগমের ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি মোবাইল কার ৷ শুধু তাই নয়, রাস্তায় ঘুরবেন পৌরনিগমের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা ৷ তাঁরা হোটেল-রেস্তরাঁগুলির খাবারের ওপর নজরদারি চালাবেন ৷ আগামিকালই কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ এই খাদ্য পরীক্ষা অভিযানের সূচনা করবেন ৷
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই ফুড টেস্টিং লাইব্রেরিতে,
- টাইফয়েড রোগের জীবাণু নির্ণয় ও নিশ্চিতকরণ
- ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রির জীবাণু নির্ণয় ও নিশ্চিতকরণ
- কলেরার জীবাণু নির্ণয় ও নিশ্চিতকরণ
- ফুড পয়জনিং-এর জীবাণু নির্ণয় ও নিশ্চিত করা
- সেইসঙ্গে ভারী ধাতু, কীটনাশক, মাইকোটক্সিন, খাবার সংরক্ষণের উপাদান, অ্যান্টিবায়োটিক, মলিকিউলার বায়োলজি নির্ধারণ করা যাবে ৷
আরও পড়ুন : East-West Metro : সপ্তমী থেকে নবমী, মেট্রোর সংখ্যা বাড়ছে ইস্ট-ওয়েস্টে
এককথায় নাগরিকদের জন্য একটি বিশ্ব মানের আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ল্যাবরেটরি তৈরি করেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ পাশাপাশি এ দিন কালীঘাটে স্কাই ওয়াকারের নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কলকাতা পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক ৷ ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, দক্ষিণেশ্বরের স্কাই ওয়াকের কাজ শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পনা ছিল, কালীঘাটে এই রকমই একটি স্কাইওয়াকার তৈরি করা হোক ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই কালীঘাটে এই স্কাই ওয়াকার তৈরি করা হবে ৷ স্কাই ওয়াকার তৈরি হওয়া নিয়ে এখানে একটা সমস্যা ছিল ৷ এই এলাকায় বহু হকার ও ব্যবসায়ীরা ছিল ৷ তাই কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে ৷ হাজরা পার্কের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে ৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন ৷ দুর্গা পুজোর পরেই এই কাজ শুরু করা হবে ৷ 18 মাস সময় লাগবে এই কাজ শেষ হতে ৷ 60 কোটি টাকা খরচ করে এই স্কাইওয়াকার তৈরি করা হচ্ছে ৷