কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: "অন্য়ের ঘরে উঁকি মারা ভদ্র সমাজে কেউ সহ্য করে না !" শনিবার ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ৷ তাঁর দাবি, সুকান্ত মজুমদাররা নিজেরাই অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন ৷ আর সেই কারণেই তাঁরা 'অন্যের ঘরে' অর্থাৎ তৃণমূলের অন্দরে উঁকি মারছেন !
ঘটনার সূত্রপাত একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে ৷ পোস্টটি করেছিলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সমীরকুমার পাঁজা (Samir Kumar Panja) ৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, "হ্যাঁ, আমার এই মহান নেত্রী আছেন বলেই, আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যাইনি ৷ কারণ কত ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে, নানান ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে 38টা বছর মহান এই নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করতে করতে এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে ৷ কারণ আজ অবধি মিথ্যা নাটক করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভাল সেজে একটা মেকি লিডার হতে চাই না আমি ৷ আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যাঁরা আছে, তারা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে ?... আমার যাওয়ার সময় হল, দাও বিদায় !"
আরও পড়ুন:'আমার যাওয়ার সময় হল, দাও বিদায়', উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়কের পোস্ট ঘিরে জল্পনা
স্বাভাবিকভাবেই সমীরের এই পোস্ট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ৷ সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, নব্যদের সঙ্গে লড়াইয়ে গুরুত্ব হারাচ্ছেন পুরনো তৃণমূলীরা ৷ আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সমীরের মতো নেতারা ৷ দল ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা ৷ প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও ৷ তাঁর বক্তব্য, পুরো তৃণমূল দলটাই হতাশায় ভুগছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী হতাশায় ভুগছেন ৷ আজকাল জিভ জড়িয়ে যাচ্ছে ৷ আগে হত ? যত সময় যাবে, তত এগুলো বাড়বে !
সুকান্ত মজুমদারকে ফিরহাদ হাকিমের জবাব ৷ সুকান্তর এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই পালটা জবাব দেন ফিরহাদ ৷ তিনি বলেন, "আসলে বিজেপি-ই অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে ৷ তাই এইসব কথা বলছে ৷ তাছাড়া, এটা তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ ওঁরা কেন কথা বলছেন ? ওঁদেরও তো দিলীপ, সুকান্ত, শুভেন্দুর মধ্য়ে কত কিছু হচ্ছে ৷ আমরা সবই জানি ৷ ফিরহাদের বক্তব্য, বিজেপি-এর অন্দর নিয়ে তাঁরা যেমন মাথা ঘামান না, তেমনই তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও বিজেপি নেতাদের ভাবার প্রয়োজন নেই ৷ তাছাড়া, ভদ্র সমাজে এই ধরনের ঘটনা কাম্যও নয় ৷"