কলকাতা, 2জুলাই : কোরোনা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া নিয়ে পৌরনিগমের পরিকাঠামোরদুর্বলতা স্বীকার করে নিলেন কলকাতা পৌর নিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অপর্যাপ্তগাড়ির পাশাপাশি কর্মী সংখ্যাও কম হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ।
গতকাল আমহার্স্ট স্ট্রিটে কোরোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃতদেহফ্রিজে দুইদিন ধরে রাখার ঘটনা সামনে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। আজ প্রায় একই ঘটনাঘটে উত্তর কলকাতার গৌরীবাড়িতেও। এক মিষ্টির দোকানের মালিকের মৃতদেহ দোকানের ভিতরদীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকা নিয়ে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভে পথে নামেন।
জানা গিয়েছে,ওই ব্যক্তি বিগত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আজ সকালে মেডিকেলকলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কোরোনা পরীক্ষাররিপোর্ট না থাকায় ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি হাসপাতালের তরফে। হাসপাতাল থেকেমৃতদেহ এনে দীর্ঘক্ষণ দোকানেই পড়ে থাকায় বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পরে রিপোর্টেজানা যায়,তিনি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপরে পৌরকর্মীরা তার দেহ সৎকারেরজন্য নিয়ে যান।
এই বিষয়ে কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন,পরিকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা রয়েছে। একদিকেযেমন মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী গাড়ির সংখ্যা কম,অন্যদিকে বেশিরভাগ গাড়ির চালকইকোরোনার মৃতদেহ নিয়ে যেতে চাইছেন না। তবে পৌর নিগমের কাছে খবর এলেই কর্মীরামৃতদেহ নিয়ে এসে সৎকার করছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে খবর এলেও পৌর নিগমের কাছে খবরদেরিতে আসায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
ওয়ার্ড অর্ডিনেটরদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফিরহাদ হাকিমঅসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,কোনও ওয়ার্ডে কারোর কোরোনা আক্রান্ত ওই মৃত্যু হলে সেই খবরকো-অর্ডিনেটরদের কাছে থাকছে না। ফলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি ওয়ার্ডকো-অর্ডিনেটরদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন ।