পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

Durga Puja 2022: পুজোয় লেনদেন হতে পারে 40 হাজার কোটির ! চাকরি 3 লক্ষের - দুর্গাপুজো

বাংলার দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022) কি শুধুই মিলন উৎসব ? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আদতে এই পুজো তার থেকে অনেক বড় বিষয় ৷ বিশেষ করে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম (Financial Impact on Economy) ৷

Financial Impact of Durga Puja 2022 on Economy
Durga Puja 2022: পুজোয় 40 হাজার কোটির লেনদেন হয় এই বঙ্গে ! কাজ পান 3 লক্ষ মানুষ

By

Published : Oct 3, 2022, 1:30 PM IST

কলকাতা, 3 অক্টোবর:বাংলার দুর্গাপুজো শুধুমাত্র এক মিলন উৎসব নয় ৷ বরং, তা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগও বটে ৷ হিসেব বলছে, প্রতিবছরের মতো এবারের পুজোতেও (Durga Puja 2022) কমপক্ষে 40 হাজার কোটি টাকার অর্থের লেনদেন হবে ! সব মিলিয়ে কাজের সুযোগ পেতে পারেন প্রায় 3 লক্ষ ৷ সোমবার, অষ্টমী তিথিতে পুজোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মানুষজনের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে ৷ তাঁরা বলছেন, করোনাকালের ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি বাদ দিলে সারা রাজ্যে 40 হাজারেরও বেশি বারোয়ারি দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয় ৷ শুধুমাত্র কলকাতা শহরেই এমন পুজোর সংখ্য়া প্রায় 3 হাজার ৷ কেবল এই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই বছরে অন্তত তিন থেকে চারমাস নিশ্চিত কাজের সুযোগ পান কিছু মানুষ ৷ বাংলার অর্থনীতিতে দুর্গাপুজোর প্রভাব (Financial Impact on Economy) অপরিসীম ৷

দুর্গোৎসব ফোরামের চেয়ারম্য়ান পার্থ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, "দুর্গাপুজোকে ঘিরে যে জাঁকজমক হয়, তাতে অন্তত 40 হাজার কোটি টাকার লেনদেন চলে ৷ কাজের সুযোগ পান 2 থেকে 3 লক্ষ মানুষ ৷ রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের একাংশ বছরে অন্তত তিন-চারমাস নিশ্চিত কাজের সুযোগ পান ৷" উল্লেখ্য, দুর্গোৎসব ফোরাম (Forum For Durgatsab) বা এফএফডি (FFD)-এর আওতায় রাজ্যের 400টি বারোয়ারি পুজো নথিভুক্ত রয়েছে ৷

আরও পড়ুন:হিন্দু মহাসভার পুজোয় অসুরের বদলে গান্ধির মুখ, বিতর্ক তিলোত্তমা জুড়ে

পুজো নির্ভর এই অর্থনীতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পার্থ বলেন, এখানে বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অনেকটা সাহায্যপ্রদানকারীর (Facilitator) মতো ৷ পুজোর মূল অনুষ্ঠান চলে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত, টানা পাঁচদিন ৷ এর জন্য, মণ্ডপ তৈরি করতে হয় ৷ প্রতিমা নির্মাণ করতে হয় ৷ তাতে প্রচুর মানুষের সাময়িক নিয়োগ হয় ৷ এছাড়াও, বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া শুরু করে রকমারি আলোর কাজ, নিরাপত্তার জন্য প্রচুর কর্মী প্রয়োজন হয় ৷ সঙ্গে পুরোহিত, ঢাকি, ঠাকুর বয়ে নিয়ে যাওয়ার শ্রমিক, পাচক-সহ আরও অনেক মানুষকে কাজে লাগে ৷ এঁরা সকলেই পেশাদার এবং এঁদের এই নিয়োগ সাময়িক হলেও তা সুনিশ্চিত ৷

পার্থ বলেন, "পুজোর এই দায়িত্ব এককথায় বিরাট ৷ কিন্তু, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে আমাদের এটা পালন করে যেতে হয় ৷" তাছাড়া, পুজোর সময়েই বাঙালি নতুন পোশাক কেনে ৷ নিজেকে সাজিয়ে তোলে ৷ ফলে পোশাক উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিক্রেতা, কিংবা বিউটি পার্লারের কর্মী থেকে শুরু করে নামী প্রসাধনী প্রস্তুতকারী সংস্থা, সকলেরই এই সময় ব্যস্ততা বাড়ে ৷ বাড়ে উপার্জন ৷ একইসঙ্গে, রেস্তোরাঁ, সিনেমা শিল্পও পুজোর জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি সেরে রাখে ৷ আয় ভালো হয় এইসব ক্ষেত্রেও ৷ পুজোয় বহু মানুষ বেড়াতে যান ৷ ফলে পর্যটনেও জোয়ার আসে ৷

অর্থাৎ, বাঙালির এই মিলন উৎসব সঠিক অর্থেই সর্বজনীন ৷ কারণ, এই পুজোকে কেন্দ্র করেই বহু মানুষের মুখে হাসি ফোটে ৷ এর সুফল শুধুমাত্র বাঙালিরা পান না ৷ বরং, তা জাতি, দেশ, ধর্ম, সম্প্রদায়, সবকিছুকেই অতিক্রম করে যায় ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details