কলকাতা ও হুগলি, 2 অগাস্ট : অবশেষে উদ্ধার হল সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের ফিজ়িক্স অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র ঋষিক কোলে (18)-র মৃতদেহ । গতকাল বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটর স্টেশনের মাঝে রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখা এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ খবর পেয়ে আজ বেলুড় GRP-তে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে ঋষিকের পরিবার ৷ বেলুড় GRP সূত্রে খবর, ঋষিকের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে ৷ সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে সেই নোটে কী লেখা আছে তা জানা যায়নি ৷ কীভাবে ঋষিকের মৃতদেহ এখানে এল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: গ্রাম থেকে শহরে এসে মানাতে পারল না মেধাবী ছাত্র ! নিখোঁজ সেন্ট জ়েভিয়ার্সের পড়ুয়া
গতকাল সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ নিখোঁজ হয় ঋষিক ৷ সকালে হোস্টেল থেকে বালতি কিনতে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল সে ৷ তারপর আর ফেরেনি ৷ ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে ৷ খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ ৷ CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ বুঝতে পারে ব্যাগ নিয়ে কলেজের উলটো দিকে রাস্তা ধরে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছে ঋষিক । পুলিশ তার শেষ টাওয়ার লোকেশন পেয়েছিল বেকবাগানে ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তার রুমমেট ও সহপাঠীদের । তারা পুলিশকে জানায়, নিজের সমস্যার কথা তাদের বলেছিল ঋষিক । আসলে এমন সমস্যা ভীষণভাবেই পরিচিত । অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হয় । তার জেরে অনেক সময়ই অনেকে তিলে তিলে শেষ হয়ে গেছে । গ্রাম থেকে শহরে এসে ঠিকভাবে মানিয়ে নিতে পারছিল না ঋষিক । তার গ্রামের স্কুলে বাংলাতেই চলত পড়াশোনা । কলেজে সবটাই পালটে যায় । যোগাযোগের মাধ্যমটাও হয়ে পড়ে হিন্দি ও ইংরেজি । সঙ্গে সহপাঠীদের চলন-বলন আদব-কায়দাও একেবারে অন্যরকম । আর সেটাই সমস্যা হচ্ছিল তার । একথা ঋষিক না কি তার সহপাঠীদের জানিয়েছিল ৷ তবে কি এই হতাশা কারণেই পালিয়ে যায় সে ? উত্তর পাওয়া যেতে পারে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ৷ মৃত্যুর আসল কারণ কী তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷