কলকাতা, 9 মে: কোরোনা মোকাবিলায় দেশবাসীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু মারণ রোগের মোকাবিলা ও বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প চালিয়ে যেতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। সেই সূত্রেই তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ত্রাণ তহবিল। প্রচুর মানুষ যে তহবিলে অর্থ দান করছেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণায় নেমে পড়েছেন একদল সাইবার প্রতারক। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভুয়ো UPI লিঙ্ক। কখনও বা QR কোড। কিংবা পেটিএমের লিঙ্ক। যে ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। না জেনে ইতিমধ্যে প্রতারিত হয়েছেন অনেকেই, জানাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ।
ফোনের সাধারণ মেসেজ বক্সে, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপর মতে সোশাল সাইটে প্রতিনিয়ত আসছে কোরোনা ত্রাণে সাহায্যের আহ্বান। যাতে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট নম্বর কিংবা UPI কোড। অনেক ক্ষেত্রে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবেদনের কথাও। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে মন ছোঁয়া ছবি। আবেগের বশে ওই অচেনা UPI নম্বরে টাকা পাঠাচ্ছেন অনেকেই। এক্ষেত্রেই সাবধান হতে বলছেন গোয়েন্দারা। একই কথা বলছে ব্যাঙ্কগুলিও। ইতিমধ্যে অধিকাংশ ব্যাঙ্কগুলির তরফে গ্রাহকদের সাবধান করে বার্তা পাঠানো হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে, অচেনা UPI লিঙ্কে টাকা না পাঠানোর জন্য। গোয়েন্দাদের মতে, প্রতারকেরা ফাঁদ পেতে রয়েছে। এদের বেশিরভাগ জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্য। যারা কুটির শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্ক প্রতারণাকে। প্রতি মুহূর্তে নতুন ফন্দি তৈরি করছে এরা। কোরোনা-আবহেও যাদের সক্রিয়তার অভাব নেই। এরা বিভিন্ন ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে টোপ দিচ্ছে ইন্টারনেটে দুনিয়ায়। শিকারের অপেক্ষায় বসে আছে। কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চাওয়া হচ্ছে সাহায্য। সেই মেসেজের সঙ্গে থাকছে লিঙ্ক। যে লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বনাশ ঘটবে। অচেনা UPI-এ টাকা পাঠালে কার্ডের তথ্য চুরি যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।