কলকাতা, 13 ডিসেম্বর:বাঁশদ্রোণী (Bansdroni murder case) হত্যাকাণ্ডে উঠে এল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনা ৷ পরকীয়া লুকোনোর জন্য এক মহিলা তাঁর প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে খুন করিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Bihar man arrested) করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (Kolkata police )। ধৃতের নাম রাজীব কুমার । বাড়ি বিহারে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, মৃত মুকেশ কুমারের ভাইয়ের স্ত্রী ললিতার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে রাজীবের ৷ মুকেশ তা জেনে যাওয়ায় রাজীব ও ললিতা তাকে খুনের ষড়যন্ত্র করে ৷ ললিতাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
গত 27 ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ বাঁশদ্রোণী (Bansdroni murder news) থানা এলাকার সোনালি পার্কে একটি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বাড়ির মালিক মুকেশ সাউয়ের দেহ । তদন্তকারীরা দেহটি দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন । মুকেশ সাউয়ের গলায় এবং কাঁধে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল । পাশাপাশি তাঁর বাঁ হাতে ধরা ছিল একটি ধারালো ছুরি ।
আরও পড়ুন:Gariahat Murder : কাকুলিয়ায় জোড়া খুনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত, জানাচ্ছে লালবাজারের থ্রিডি মডেলিং
রক্তাক্ত দেহটি প্রাথমিক ভাবে দেখে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা অনুমান করেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা বা আত্মহত্যার ঘটনা নয় । এর কারণ যে ব্যক্তি আত্মঘাতী হচ্ছেন, তাঁর পক্ষে নিজের শরীরে এত জায়গায় আঘাত করে আত্মহত্যা করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার । এরপর এই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে ।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ জানতে পারে এটি একটি খুনের ঘটনা । এর পরেই মৃতের ভাইকে বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । এরপর রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রহস্যের উন্মোচন হয় ৷