কলকাতা, 13 মে:দ্বিতীয় পেরিয়ে তৃতীয় বারের জন্য গঠিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এক বছর অতিক্রান্ত (Bengal Employment scenario)৷ তবে গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেরকর্মসংস্থানের ছবিটা এখনও পর্যন্ত খুব একটা আশাপ্রদ নয় ৷ চাকরির দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ এখন চেনা ছবি ৷ তিন বছর আগে রাজ্যের সরকারি এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা ছিল প্রায় 30 লক্ষ । বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 36 লক্ষ । অথচ সরকারি হিসেব বলছে, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যে শূন্যপদ 3 লক্ষ 58 হাজার 720 (Employment scenario of West Bengal)।
এসএসসি ও পিএসসি মিলিয়ে কমপক্ষে 50 হাজার চাকরিপ্রার্থী তাকিয়ে রয়েছেন কবে তাঁদের কাজ পাবেন । এঁরা লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ সবেতেই উত্তীর্ণ । কারণ এসএসসি নিয়োগ নিয়ে বারে বারে মেধাতালিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে । এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্ত চলছে । 2016 সালের পর থেকে কোনও নিয়োগ হয়নি । আদালত এসএসসি-র প্যানেল বাতিল করেছে, পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের প্যানেল বাতিল করেছে, খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের প্যানেল বাতিল করেছে । সব ক্ষেত্রেই অনিয়ম লক্ষ্য করা গিয়েছে ।
নবম, দশম, একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদে উত্তীর্ণরা এখন প্রখর রোদ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে হকের চাকরি পেতে রাস্তায় গান্ধী মূর্তির নিচে লাগাতার অনশন চালাচ্ছেন । 450 দিন ছুঁতে চলেছে তাঁদের অনশন । আদালতের নির্দেশ নিয়েই বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করলেও মাঝে মধ্যেই পুলিশের হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে তাঁদের অভিযোগ । বহরমপুর, শিলিগুড়ি, হুগলি, বাঁকুড়া-সহ রাজ্যের নানা জেলা থেকে এসে লাগাতার অনশন চালানো ছেলে মেয়েরা এখন থাকছেন বারুইপুরের একটি বাড়িতে । নিজেদের খরচেই থাকছেন । সকাল হলেই নিয়মিত অনশন স্থলে চলে আসছেন । চাকরি পাওয়ার আশায় কেউ তাঁর বাবা-মাকে হারিয়েছেন, কেউ আত্মঘাতী হয়েছেন । আবার কেউ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন ৷ এই মুহূর্তে বিএড উত্তীর্ণ হওয়া বেকার ছেলেমেয়ে রাজ্যে কমবেশি 12 লক্ষ । দীর্ঘদিন পরীক্ষা হয় না, তাই চাকরি দূরে থাক, চাকরির জন্য পরীক্ষায় অধিকাংশই বসার সুযোগ পাচ্ছেন না ।