কলকাতা, 21 জুন : এবার পড়াশোনার পাশপাশি রোজগারও করা যাবে । এমনটাই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের । জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় দুঃস্থ স্নাতক পড়ুয়াদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে ইন্টার্নশিপের (College Students Internship Plan) সুযোগ দেওয়া হবে । এই পরিষেবার বিনিময়ে তাঁদের অর্থ দেওয়া হবে । তবে এই মর্মে এখনও কোনও নোটিফিকেশন জারি করেনি রাজ্য সরকার ।
রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনার কথা সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল । কারণ, অনেকেই মনে করছেন এই ধরনের ইন্টার্নশিপ থেকে যদি আগামিদিনে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেটাই কাজের কাজ হবে (education experts says employment generation is more important than internship) ৷
এই বিষয়ে টিএমসিপি ছাত্র নেতা রাজু মেহেদী বলেন, "ছাত্র দরদী মুখ্যমন্ত্রী সবসময় ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকেন । কিছুদিন আগেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মধ্য দিয়ে অনেক দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষায় সুবিধা লাভ করেছে । উচ্চশিক্ষায় নতুন যে ইন্টার্নশিপ বাংলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসার কথা ভাবছেন, তাকে সাধুবাদ জানাই । একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে ভাঁওতাবাজি দিয়ে নিজেদের আত্মনির্ভর হতে বলে হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, বিপরীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছেন । তাতে ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারবে এবং নিজেদের কেরিয়ার গড়তে সক্ষম হবেন ।"
এসএফআই-এর কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, "এই ধরনের কথা মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও বলেছেন । কিন্তু একটিও ফলপ্রসূ হয়নি । এই ইন্টার্নশিপের একটা মেয়াদ রয়েছে । তবে কি এবার স্থায়ী চাকরির সম্ভাবনা একেবারে মুছে গেল ? 5000 টাকার বিনিময় রাজ্যের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের রাজ্য সরকার পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে বসিয়ে রাখা হবে । এভাবে সরকার এদের ভবিষ্যতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দিক থেকে দায়মুক্ত হতে চাইছে । এই ইন্টার্নশিপ করে যে তাঁরা কোথাও চাকরি পাবেন, তেমনটাও তো নয় । কারণ, রাজ্যে শিল্প, সার্ভিস ইউনিট এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বন্ধ । পাশাপাশি সরকারি চাকরির যে কী অবস্থা তা কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক রায়দানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ।"
তিনি আরও বলেন, "পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের যে স্কলারশিপগুলো এতদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলিকে অবিলম্বে চালু করলে তাদের অনেক বেশি সুবিধা হয় । এই ধরনের স্কলারশিপের এককথায় মানে হল যে কম টাকায় রাজ্য সরকারের কাজ করিয়ে নেওয়া ।"