কলকাতা, 2 এপ্রিল : লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে কৃষকবন্ধু চেক বিলি এবং ভোট দেওয়ার ফতোয়ার বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার বিষয়টি কমিশনের মিডিয়া ওয়াচের নজরে পড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। একথা জানান রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু।
তিনি বলেন, “বিষয়টি মিডিয়া ওয়াচের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। ইতিমধ্যেই জেলাশাসককে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সমব্যথী, রূপশ্রী এবং আলু কেনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেয়েছে রাজ্য সরকার। কমিশনের তরফে দেওয়া হয় সেই ছাড়পত্র। কিন্তু, কৃষকবন্ধু নিয়ে রাজ্য সরকারের আবেদনের আবারও ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। এরই মাঝে ভাঙড়-২ ব্লকের ভোগালী-২ পঞ্চায়েতে চেক বিলির অভিযোগ উঠেছে। শুধু চেক বিলিই নয়, চেক দিয়ে কৃষকদের ভোট দেওয়ার ফতোয়া জারি হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি কৃষকবন্ধুর চেকের মাধ্যমে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে।
পঞ্চায়েত প্রধান নাকি বলেছেন, “আমাদের ১১ হাজার ভোটার। প্রত্যেক ভোট যেন আমাদের বাক্সে পড়ে। এই চেক নিয়ে গিয়ে আবার যেন CPI(M)-কে ভোট দিয়ে দেবেন না। আমাদের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকেই ভোট দেবেন। বিধানসভার ভোট হলে বিরোধী প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে নিতাম। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল করেছি। লোকসভা ৭টি বিধানসভা নিয়ে বলে তা করা সম্ভব নয়।"
আর এতেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ভাঙড়-২ ব্লকের ভোগালী-২ পঞ্চায়েতের প্রধানের অবশ্য বক্তব্য, "প্রকল্পে আর্থিক অনুদানের অর্থ আগেই অনুমোদিত হয়েছিল। সেই অর্থ পঞ্চায়েত অফিস থেকে উপভোক্তাদের দেওয়া হচ্ছে।"