মমতার প্রতি ভালোবাসার টান, পানিহাটি থেকে হেঁটে ধর্মতলায় অশীতিপর

বয়স আশি ৷ কিন্তু বয়সের ভার উপেক্ষা করেই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করলেন রনোজ ঘোষ ৷ জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নিছক শ্রদ্ধা আর ভালবাসার টানে প্রতি বছরই ব্যারাকপুর থেকে পায়ে হেঁটে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন পানিহাটির এই বৃদ্ধ ৷

কলকাতা, 21 জুলাই: বয়স কোনও বাধা নয় ৷ অশীতিপর পায়ে ছুটে যান সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, খানাকুল অথবা বারাসত ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে জনসভা করেন সেখানেই পৌঁছে যান তিনি ৷ নেত্রীর প্রতি ভালোবাসার টানে প্রতিবছর শহিদ দিবসের সমাবেশে যোগ দেন অশীতিপর রনোজ ঘোষ ৷

পানহাটির চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রনোজ ঘোষ নিজেই মজা করে বলেন, "আমার বয়স 80, তাই আমি মমতাকে ভালোবাসি ৷" প্রতিবছরই ব্যারাকপুর থেকে পায়ে হেঁটে পৌঁছে যান ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সমাবেশে৷ এবারেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি ৷ রনোজবাবু বলেন, " ব্যারাকপুর থেকে পায়ে হেঁটেই আসছি 21 জুলাইয়ের সমাবেশে ৷ সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, খানাকুল, বারাসত, কোনও জায়গাতেই বাদ দিই না ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে মিটিং করেন, সেখানেই আমি পায়ে হেঁটে পৌঁছে যাই ৷"

2006-র সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রনোজবাবুর প্রিয় নেত্রী ৷ তাই মমতার সব জনসভাতেই উপস্থিত হন তিনি ৷ তিনি বলেন, "এ বছর 21 জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভোর 5টায় বাড়ির থেকে বেরিয়েছি ৷" কেন তিনি ৮০ বছরেও পায়ে হেঁটে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে আসেন? রনোজবাববুর সাফ উত্তর "মমতাকে ভালো লাগে, তাই তাঁকে স্বাগত জানাতেই এখানে এসেছি ৷ প্রতিবছরই এখানে আসি ৷ তবে আজ সকালে বৃষ্টির কারণে সভায় আসতে একটু দেরি হয়েছে ৷ "