কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে প্রবল জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতিদিনই বহু শিশুকে ভর্তি করানো হচ্ছে ৷ মা-বাবার মধ্যে যা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ৷ কিছু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ জানা গেলেও, বহু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না ৷ তবে, এই জ্বর কোনও ভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ কারণ বেশিরভাগ শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে ৷ তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আতঙ্কিত না হয়ে বাচ্চার মা-বাবাকে আরও সতর্ক হতে হবে ৷ জ্বরের প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷
করোনা আবহে শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বর, চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মা-বাবা’র কপালে ৷ সপ্তাহখানেক ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শিশুদের ভর্তি করানো হয়েছে ৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতিও হয়েছে ৷ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যাও ৷ ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে প্রায় 20 জন শিশু এই ধরণের জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছে ৷ এদের মধ্যে 7 জন শিশু আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে এবং তিনজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : child fever ; শিশুদের জ্বরে আতঙ্ক নয়, সতর্ক হতে পরামর্শ চিকিৎসকদের
চিকিৎসক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুরা সকলেই করোনা নেগেটিভ ৷ বহু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ নির্ধারণ করা গেলেও, অনেক ক্ষেত্রে আবার জ্বরের কারণ বোঝা যাচ্ছে না ৷ তাই সে ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে অজানা জ্বর ৷ তবে বর্ষা ও শীতকালের শুরুতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, স্ক্রাব টাইফাস, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যানেনজাইটিস, এনকেফেলাইটিসের মতো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে ৷ এর ফলেও জ্বর হচ্ছে ৷ এক বছরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে ৷ এদের বেশ কিছু জনের অক্সিজেনের প্রয়োজনও পড়ছে ৷ আবার ভেন্টিলেশনেও রাখতে হচ্ছে ৷ এটাকে আমরা বলছি ভাইরাল নিউমোনিয়া ৷ তবে, ভেন্টিলেশনে যাওয়া শিশুদের সংখ্যা অত্যন্ত কম ৷’’