3 সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারণা বরখাস্ত পুলিশকর্মীর - বরখাস্ত পুলিশ অফিসার
জাল উর্দি গায়ে চাপিয়ে করে বেড়াতেন তোলাবাজি, প্রতারণা। সঙ্গে যুক্ত ছিল 3 সাকরেদ। কলকাতা পুলিশের বরখাস্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরের অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৷
কলকাতা, 4 অগাস্ট: চাকরি জীবনে নানা বেনিয়ম। আর তাই প্রথমে সাসপেন্ড পরে বরখাস্ত করা হয়েছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরকে। তাতেও শিক্ষা হয়নি। কলকাতা পুলিশের একটা জাল উর্দি গায়ে চাপিয়ে করে বেড়াতেন তোলাবাজি, প্রতারণা। সঙ্গে যুক্ত ছিল 3 সাকরেদ। অপরাধের কোন কোন কাজে নেতৃত্ব দিতেন তিনি। কোনও কাজে আবার দলের অন্য কেউ। তাদের সেই কীর্তি চাপা থাকল না। এক ব্যবসায়ীকে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার করা হল চারজনকেই। বরখাস্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই জাল উর্দি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ এবং দেবাশিস নামে দুজন এক ব্যবসায়ীকে তারাতলা FCI এর রেজিস্টার ভেন্ডার হিসাবে নথিভুক্ত করে দেবেন বলে কথা দেন। কিন্তু তার জন্য লাগবে টাকা। বেশ কয়েকদিন কথাবার্তা চলার পর তিনি জানতে পারেন সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের অফিসারও। এবার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন তিনি। গত জুন মাসে তারাতলা FCI গোডাউনের সামনে ওই ব্যবসায়ী চারজনের হাতে তুলে দেন 6 লাখ 18 হাজার টাকা। তারপরেই তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। 26 জুন বিষয়টি নিয়ে তারাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুলিশ অফিসার ছাড়া ওই ব্যক্তি আর কেউ নয়, বরখাস্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর রাধা কিষন সিং। ঘটনায় পুলিশ একে একে গ্রেপ্তার করে দীপক দাস, দেবাশিস ঘোষাল, দীপঙ্কর নাগকে। গ্রেপ্তার করা হয় রাধা কিষনকেও। তাদের কাছে উদ্ধার হয় তিন লাখ টাকা।
পুলিশ এরপর রাধা কিষনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে উদ্ধার হয় জাল উর্দি। সেটির ব্যবহারে আর কত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা কিংবা তোলাবাজি চালিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।