কলকাতা, 2 অগাস্ট : রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন অর্থাৎ 5 অগাস্ট রাজ্যে লকডাউন করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ রবীন্দ্র সরোবরে চা চক্রে এসে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ।
"চারবার লকডাউনের দিনক্ষণ পালটানো হয়েছে, আরেকবার করলে কী হত ?"
অযোধ্যায় 5 অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পুজো ৷ সাধারম মানুষের স্বার্থে ওইদিন রাজ্য সরকার লকডাউন তুলে নিক- চাইছেন দিলীপ ঘোষ ৷
কোরোনার সংক্রমণ রুখতে অগাস্ট মাসে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার ৷ প্রথম লকডাউন 5 তারিখে ৷ ওইদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো ৷ কিন্তু ওইদিন রাজ্যে লকডাউন থাকায় সাধারণ মানুষ তাতে অংশ নিতে পারবেন না ৷ যা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি । বলেন, ‘‘5 অগাস্ট লকডাউন করে রাজ্যের মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার । সারা ভারতে ধুমধাম করে পালন হবে দিনটি ৷ অথচ এরাজ্যের মানুষ তা করতে পারবে না । এটা অমানবিক । মানবতার বিরুদ্ধে লড়াই । চারবার লকডাউনের দিনক্ষণ পালটানো হয়েছে ৷ আরেকবার পালটালে কী হত?’’ 5 অগাস্ট সকাল 11টা থেকে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেওয়া হবে । সন্ধেয় প্রদীপ জ্বালানো হবে ৷ কিন্তু লকডাউন থাকায় এরাজ্যে কোনও অনুষ্ঠান হবে না বলে মনে করেন BJP নেতা ৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘লকডাউনের স্থায়ী সমাধানের কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না । পরীক্ষা করতে করতে হাতের বাইরে চলে যাবে কোরোনা পরিস্থিতি ৷’’
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, COVID-19’এর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে অন্য রাজ্য ফল পেয়েছে । এদিকে কোরোনা আটকাতে ব্যর্থ এরাজ্যের সরকার । অভিযোগ, কোরোনা আবহে গত এক মাসের মধ্যে পাঁচজন BJP কর্মী খুন হয়েছেন । এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক হিংসা সরকারের একটা নীতি হয়ে গেছে । তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই ।’’ পাশাপাশি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ইশুতে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রাজ্যে আনা হয়নি । বন্দে ভারত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাইরে থেকে মানুষ আসতে পারছেন না । আমরাও দিল্লিতে কাজে বৈঠকে যেতে পারছি না । দিল্লি থেকে নেতা-মন্ত্রীরা এরাজ্যে আসতে পারছেন না । নাগরিকদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে । দেশ থেকে বাংলাকে বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত করা হচ্ছে ।’’ প্রশান্ত কিশোরের নাম না করে দিলীপের আক্রমণ, ‘‘বিহারের লোক এসে বাংলা চালাচ্ছেন, এটা দ্বিচারিতা । দল লিজ় দিয়েছে ৷ এরপর সরকারও লিজ় দেবে নাকি । মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করেছিলেন যাতে আধার কার্ড না হয় । আধার না দেওয়া হলে রোহিঙ্গাদের এনে ভোট করা যাবে । আর মিড ডে মিলের চাল চুরি করা যাবে । দুর্নীতি আর লুট করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে পার্টির নেতা-কর্মীদের ।’’