কলকাতা, 5 অক্টোবর: দেবীপক্ষেই ভবানীপুরের বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তাঁর এই শপথ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা জটিলতা। জটিলতা রাজভবন আর বিধানসভার মধ্যে। এই পথে প্রধান বাধা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর । সোমবার দিনভর বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে টানাপোড়েন চলল মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে । সূত্রের খবর, বিধানসভা থেকে রাজভবনে প্রস্তাব আকারে একটি চিঠি পাঠানো হয় । যেখানে আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসে বিধায়ক মমতা-সহ আরও দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। কিন্তু এখনই তা নিশ্চিত করছেন না রাজ্যপাল ৷
এদিন বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি, বিধানসভার গরিমা এবং রীতিনীতি অনুযায়ী আসুন। কাউকে ছোট করা উদ্দেশ্য নয়, আগামী ৭ তারিখ দুপুর ১২টার আগে আমরা চাইছি ৷ বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান।’’ যদিও পরিষদীয় মন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর টুইট করে রাজ্যের মানুষকে এর জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল। যেখানে তিনি লিখেছেন, ''নির্বাচন জয়ের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানানো হোক। তার পরে সে সম্পর্কে রাজ্যপালকে অবগত করানো হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তিনি ।"
সোমবার সকাল থেকেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রীতিমতো টানাপোড়েন চলছে বিধানসভা এবং রাজভবনের মধ্যে । কোথায়, কার কাছে শপথগ্রহণ? এনিয়ে রাজভবন-রাজ্য সরকার সংঘাত চরমে । রীতি অনুযায়ী বিধায়করা বিধানসভাতেই শপথ নেন । রাজ্যপালের অনুমতিতে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ । রীতি মেনে সম্প্রতি ১২ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন অধ্যক্ষ । সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল কিংবা মনোনীত কেউ শপথ নেওয়াতে পারেন । তাই রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই ১২ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সেই অনুমতি প্রত্যাহার করেন রাজ্যপাল।