পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

D.EL.ED-র সার্টিফিকেট আটকেছে NIOS, মামলা হাইকোর্টে - NIOS

বিপদে পড়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক -শিক্ষিকা। সমস্যায় পড়েছেন প্রাক্তন সমরকর্মীরাও। সমরকর্মীরা সাধারণত মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় চাকরির পর তারা প্রাক্তন সমরকর্মী হিসাবেই প্রাইমারি স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এই ব্যাপারে 2017 সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের (বর্তমানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ) তরফে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্কার জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীতে 15 বছরের বেশি পরিষেবা প্রদানকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিকে 50%নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।

HIGH COURT
HC

By

Published : Aug 20, 2020, 2:32 AM IST

কলকাতা, 20 অগাস্ট : D.EL.ED পড়া শেষ করার পরও সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না বহু প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারীর শিক্ষক -শিক্ষিকা। ফলে বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে । বাধ্য হয়ে NIOS(National institute of open schooling)এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন প্রদীপ রায়, ভাস্কর বিশ্বাস সহ একাধিক চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকা।

মামলাকারীদের বক্তব্য, 2009 সালের শিক্ষার অধিকার আইন (RTE)অনুয়ায়ী NCTEএকটা নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়েছিল 2019 সালের 31 মার্চের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষিত হতে হবে । কিন্ত সারা দেশে পরমিত কলেজ না থাকায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (শিক্ষা মন্ত্রক ) NIOS(National institute of open schooling)কে প্রশিক্ষণের (D.EL.ED)দায়িত্ব দিয়েছে ।

সেইমত 2017-19 সালের দুবছরের কোর্সে ভরতি হন কয়েক লাখ শিক্ষক -শিক্ষিকা। গত 7 অগাস্ট NIOS হঠাৎ করে জানিয়েছে 2019 সালের মে মাসের মধ্যে যারা D.EL.ED প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে ৫০% এর কম নম্বর রয়েছে। তাদের পুনরায় উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর বাড়ানো (UPGRADE)করার পরীক্ষা দিয়ে 50%এর বেশি নম্বর পেতে হবে।তবেই তারা এই সার্টিফিকেট পাবেন।

ফলে বিপদে পড়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক -শিক্ষিকা। সমস্যায় পড়েছেন প্রাক্তন সমরকর্মীরাও। সমরকর্মীরা সাধারণত মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় চাকরির পর তারা প্রাক্তন সমরকর্মী হিসাবেই প্রাইমারি স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এই ব্যাপারে 2017 সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের (বর্তমানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ) তরফে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্কার জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীতে 15 বছরের বেশি পরিষেবা প্রদানকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিকে 50%নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।

সেই মতো রাজ্যের তরফেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে সে কথা। কিন্তু NIOS তা সত্ত্বেও এদের ফলাফল অসমাপ্ত রেখেছে। ফলে প্রত্যেকেই বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। মামলার ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানালেন, "NCTEর বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী একজন প্রার্থীকে হয় উচ্চমাধ্যমিকে 50%নম্বর এবং টিচার্স ট্রেনিং অথবা গ্রাজুয়েশন ও টিচার্স ট্রেনিং করতে হবে। তাহলে গ্রাজুয়েশন থেকে থাকলে তার মিনিমাম যোগ্যতা রয়েছে। সেই অনুয়ায়ী তাকে সার্টিফিকেট অবিলম্বে দিয়ে উচিত।কিন্তু বহু প্রার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।বাধ্য হয়েই তারা মামলা করেছেন। আগামী সোম বা মঙ্গলবার মামলার শুনানি হত পারে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details