কলকাতা, 13 জুন :গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই কি ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছিল হান জুনবে ? প্রাথমিকভাবে তাকে জেরা করে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে গোয়েন্দাদের মধ্যে । সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু শিক্ষামূলক বই ও রেজাল্ট ।
জানা গিয়েছে, ইংরেজিতে স্নাতক এই সাইবার হ্যাকার । চিনের সেনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে স্নাতকের ডিগ্রি পেয়েছে । ফলে গোয়েন্দাদের অনুমান, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হান, ফলে ভারতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত হওয়ার জন্য ও নিজের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির জন্যই ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি হাসিল করে সে ।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হানের এক সাগরেদ যে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তারও খোঁজ চালাচ্ছে বাংলাদেশ প্রশাসন । ইতিমধ্যেই লখনউ এটিএস তাকে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে জেরা করেছে । খুব তাড়াতাড়ি তাকে এনআইএ, আইবি, লখনউ এটিএস জেরা করবে বলে খবর ।
সুদূর চিনে বসে ভারতীয় মোবাইল সিম কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে হ্যাক করার কৌশল করেছিল চিনা হ্যাকাররা । আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চিনা নাগরিক হান জুনবেকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ । তার পর থেকে হান মালদা জেলা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ।
আরও পড়ুন:কালিয়াচকে ধৃত চিনা নাগরিকের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য, চরবৃত্তির সন্দেহ
ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী । তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য । যা দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের ৷
বিএসএফ সূত্রে খবর, চিনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে একাধিকবার নিজের অন্তর্বাসের মধ্যে প্রায় 1300 থেকে 1400 ভারতীয় সিম কার্ড তুলে নিয়ে চিনে পাচার করেছে সে । ইতিমধ্যেই তাকে জেরা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি । পাশাপাশি ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি বা এনআইএ, মহারাষ্ট্রের এটিএস বা অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়ার্ড-এর গোয়েন্দারাও তাকে জেরা করবে ।
আরও পড়ুন:মৃত যশপ্রীত ও জয়পালের সঙ্গে কি যোগ ছিল পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার ?
10 জুন, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে সীমা সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় সীমান্ত চৌকি সুলতানপুরের এলাকা থেকে হানকে গ্রেফতার করেছিল । লক্ষ্যণীয় যে, হান জুনবের ব্যবসায়িক অংশীদার সান জিয়াংকে বিভিন্ন অভিযোগে এটিএস লখনউ গ্রেফতার করেছিল । তার পর থেকে হান জুনবের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল । বিএসএফ এই অনুপ্রবেশকারীর তল্লাশি করলে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক বৈদ্যুতিন ডিভাইস উদ্ধার করা হয় ।