কলকাতা, 14 জুন: COVID-19 সংকটের মধ্যে বড়সড় স্বস্তি পেল রাজ্যের নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। সরকারি নির্মাণ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য নির্মাণকারীদের আরও নয় মাস সময় দিল পশ্চিমবঙ্গ আবাসন শিল্প নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (WBHIRA)। রবিবার তাঁরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময় থেকে আরও নয় মাস সময় পাবে নির্মাণ সংস্থাগুলি। এর জন্য নির্মাণকারীদের কোনও জরিমানা বা তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। WBHIRA-র এই ছাড়ের ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। কারণ, কোরোনা সংকট ও লকডাউনের জেরে দীর্ঘ দুমাস ধরে বন্ধ ছিল যাবতীয় উন্নয়নের কাজ। ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে।
বাংলার আবাসন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও সময় পেল নির্মাণকারীরা
কোরোনা ও লকডাউনের জেরে থমকে গিয়েছিল রাজ্য সরকারের আবাসনগুলির নির্মাণকাজ। ফলে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারার চিন্তায় পড়েছিল নির্মাণসংস্থাগুলি। এবার তাদের স্বস্তি দিতে কাজ সম্পন্ন করতে সংস্থাগুলিকে আরও 9 মাস সময় দিল WBHIRA।
নির্মাণকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এবার আমরা দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারব। পাশাপাশি সরকারের সহায়তায় যে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছে তাদের আমরা কাজে লাগাতে পারি। এতে 5 লাখের বেশি মানুষ কাজ পাবে। কোরোনা সংকটকে 'ফোর্স ম্যাজিউর' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে WBHIRA পশ্চিমবঙ্গ আবাসন শিল্প নিয়ন্ত্রণ আইন, 2017-র 6 নম্বর ধারায় অতিরিক্ত সময় দেওয়ার অনুমতি দেয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই আইনের মাধ্যমে কোনও সংকটের সময় রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এক বছর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো যায়।
রাজ্যের এক শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট সংস্থা সূত্রে খবর, লকডাউনের জন্য কাজ আটকে পড়ায় তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে আরও এক বছর কাজের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল। আবাসন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নির্মাণসংস্থাগুলিকে কাজের জন্য অধিক সময় দিতে রাজ্য সরকার সবরকমের সাহায্য করছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি রাজ্যের নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। রাজ্যে 35 লাখেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই নির্মাণসংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত। লকডাউনের জেরে কাজ আটকে পড়ায় নির্মাণসংস্থাগুলি পৌরনিগম ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের কাছেও সময় বাড়ানোর জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র WBHIRA-র কাছ থেকেই এই সাহায্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্মাণসংস্থাগুলি। তারা আরও জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেলেই আমরা আরও 5 লাখ শ্রমিককে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে পারব। রাজ্যের 10 শতাংশ GDP আসে এই রিয়াল এস্টেট শিল্প থেকেই। যেটি রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ অবদান।