কলকাতা, 14 জানুয়ারি : সামনে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন । তবে সবার নজর পশ্চিমবঙ্গে । জাতীয় নির্বাচনও যে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বাড়তি নজর দিচ্ছে তা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের দ্বিতীয় সফরে পরিষ্কার ।
প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন চলতি মাসের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অসমাপ্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন । অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংগঠিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন । প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্যে ন্যূনতম গাফিলতি হলে রেয়াত করা হবে না ।
প্রশাসনিক মহলের মতে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বা ভোট পরিচালনায় যুক্ত কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কমিশন আগে তাঁকে শোকজ় করত । যথাযথ উত্তর না পেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিত করত কমিশন । কিন্তু এবাররের নির্বাচনের আগে প্রত্যেকের উপরে নজর এতটাই জোরালো যে, ন্যূনতম গাফিলতি হলে কমিশন সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসারকে শাস্তি দিতে পারে বলে একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদীপ জৈন ।
নির্বাাচন কমিশন সূত্রে খবর, জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন জৈন । নির্দেশ দেন, দু’-এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই সব পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি । অতি স্পর্শকাতর, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন সুদীপ জৈন । 2016 এবং 2019 সালের নির্বাচনের হিংসার তথ্য তুলে ধরে হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন ।
আরও পড়ুন ট্রায়াল শেষের আগেই শুরু কোভিশিল্ডের কমার্শিয়াল ম্যানুফ্যাকচারিং ? প্রশ্ন সরকারি চিকিৎসকদের