পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধের দাবি, দমদমে দফায় দফায় বিক্ষোভ

কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধ করার দাবিতে আজ দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমদম থানার পুলিশ ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিষদ সদস্য গোপা পান্ডে ও পৌরসভার ডাক্তাররা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে আপাতত কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরসভা।

Quarantine Center
কোয়ারানটাইন সেন্টার

By

Published : Apr 5, 2020, 5:35 PM IST

কলকাতা ,5 এপ্রিল : দক্ষিণ দমদম পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদনগর অঞ্চলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধ করার দাবিতে আজ দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমদম থানার পুলিশ ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিষদ সদস্য গোপা পান্ডে ও পৌরসভার ডাক্তাররা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে আপাতত কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরসভা। পরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ওই সেন্টার খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোয়ারান্টাইন সেন্টার পুরোদমে চালু হলে সেখানে বাইরে থেকে কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা আসবে এবং সেই রোগীদের থেকে এলাকায় কোরোনা ছড়িয়ে পড়বে। এলাকার মহিলারা প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে এলাকার পুরুষরা প্রমোদনগর রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায় । যেখানে কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে সেটা আগে পৌরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্ কেন্দ্র ছিল। সরকারের নির্দেশে পৌরসভা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে উন্নীত করে।

এদিন ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টারের সামনে নানান ধরনের প্রতিবাদ মূলক পোস্টার ও দেওয়াল লিখন লিখে দেওয়া হয় । সূত্রের খবর এদিন কোয়ারান্টাইন সেন্টারের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাবার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পৌরসভার কর্মী ও পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন বিক্ষোভকারীরা কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে পৌরসভার কর্মীদের বের করে দেয় হয় বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান দক্ষিণ দমদম পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের CIC গোপা পান্ডে। তার সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার চিকিৎসকরা। স্থানীয় কাউন্সিলর প্রদীপ মজুমদারও পরে বিক্ষোভ থামাতে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি চলে আসেন। গোপা পান্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝাবার চেষ্টা করেন। যদিও বাসিন্দারা তাঁদের দাবিতে অনড় ছিল। বিক্ষোভের সময় এদিন পৌরসভার মহিলা কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। তাঁদের ধাক্কা মেরে এলাকাছাড়া করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে আপাতত বিক্ষোভের কথা ভেবে ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলা হবে।

এদিন গোপা পান্ডে বলেন, "এই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে কোরোনা আক্রান্ত রোগী রাখা হবে এই ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে স্থানীয়দের। যাঁরা জ্বরে আক্রান্ত হবেন কিংবা কোরোনার মতো উপসর্গ হবে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হবে। কোরোনা হলে সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে। এই সেন্টারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও রাজ্য সরকারের নিয়মাবলী অনুসারে সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এলাকার মানুষের কথা ভেবেই এই কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছিল"।

ABOUT THE AUTHOR

...view details