বকেয়া উৎসাহ ভাতা দেওয়া হোক, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ যুবশ্রীরা
লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিক আবেদন যুবশ্রীদের ।
কলকাতা,9 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এদিকে সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়। পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, যুবশ্রীদের উৎসাহ ভাতা মেটানোর । সমিতি দাবি করেছে, 2013 সাল থেকে যুবশ্রীদের যে 1 হাজার 500 টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ছিল তা অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এছাড়া আরও একগুচ্ছ আর্জি নিয়ে তাঁরা আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি মেল পাঠায়।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি নির্মল মাজি বলেন যে, "এমনিতেই দীর্ঘ বেকারত্বের সমস্যা, তারপর এই লম্বা লকডাউন। ফলে বহু যুবশ্রী ও তাঁদের পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাছে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তিনি যেন আমাদের অভাবের কথাটা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেন।"
পশ্চিমবঙ্গ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রায় 34 লাখ বেকার যুবক ও যুবতি। 2013 সালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের যুবশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যুবশ্রীদের জন্য মাসিক 1500 টাকা উৎসাহ ভাতা সহ স্থায়ী কর্মসংস্থানের ঘোষণা করেন। কিন্তু বাস্তবে প্রায় 7 বছর হয়ে গেল এখনও এই প্রকল্প থেকে প্রায় কেউ চাকরি পায়নি। লকডাউনের ফলে যুবশ্রীদের মতো বেকার যুবক ও যুবতিদের চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
তাঁদের আবেদন, যুবশ্রীদের অবিলম্বে এখনও পর্যন্ত বকেয়ার সমস্ত ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে । বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সমস্ত যুবশ্রীদের উৎসাহ ভাতা হিসেবে 5 হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। বর্তমানে কোরোনা মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে স্বেচ্ছাসেবক বা ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখানে যুবশ্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক । 2013 সালের 3 অক্টোবর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে যুবশ্রীদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে পূরণ করার দাবিও জানানো হয়েছে । যুবশ্রীর তরফেই এই মেইলটি মুখ্যমন্ত্রী সহ শ্রমদপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, অর্থ দপ্তর, খাদ্য দপ্তর, প্রশাসনিক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ আধিকারিকদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।