পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

কোরোনায় মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি - ন‍্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন

ন্যাশনাল হেলথ মিশন এবং ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের চুক্তিভিত্তক স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরি এবং বেতন সংক্রান্ত একাধিক দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল হেলথ মিশন জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ৷

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

By

Published : Dec 9, 2020, 1:00 PM IST

কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: ন্যাশনাল হেলথ মিশন (NHM ) এবং ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন (NHUM)-এর যে সব কর্মীর মৃত্যু কোরোনা আক্রান্ত হয়ে বা চাকুরিরত অবস্থায় হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে । রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে দাবি জানিয়েছে চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল হেলথ মিশন জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন (WBNHMJA) । এছাড়াও ন্যাশনাল হেলথ মিশন এবং ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন (NHUM)-এর চুক্তিভিত্তিক এই স্বাস্থ্য কর্মীদের চাকরি এবং বেতন সংক্রান্ত অন্য একাধিক দাবিও রয়েছে । এইসব দাবি পূরণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে এই সংগঠন ।

আরও পড়ুন : হুগলিতে দ্বিতীয়বার কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক

ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল হেলথ মিশন জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, মা ও শিশুর ক্ষেত্রে হোক কিংবা কোরোনা রোগীদের ক্ষেত্রে, এই পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের পরিষেবা চালু রাখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর । তবে, এ রাজ্যের সব চুক্তিভিত্তিক কর্মীর জন্য চাকরির সুরক্ষার নির্দেশনামা প্রকাশ করা হলেও, চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এটা এখনও লাগু করা হয়নি । সব কর্মীর বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস করা ফাইল এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি । এই ধরনের পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । তাঁদের বিভিন্ন দাবি পূরণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি পেশ করেছে WBNHMJA।

আরও পড়ুন :গতকালের তুলনায় দেশে কিছুটা বাড়ল সংক্রমণ

দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল হেলথ মিশন এবং ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের কর্মীদের স্থায়ীকরণ, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ, এবং কর্মীদের বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে EPF-এর আওতাভুক্ত করা ৷ যে পদগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আরওপির অনুমোদন পায়নি, সেই পদগুলিকে কেন্দ্রের আরওপিতে অনুমোদনের জন্য ব্যবস্থা করা ৷ পাশাপাশি যে কর্মীরা কোরোনা অথবা চাকুরিরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির জন্য ব্যবস্থা করা ।

বিভিন্ন দাবি পূরণের লক্ষ্যে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস এবং এই সংগঠনের সভাপতি, চিকিৎসক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে‌ এই স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "আপনাদের দাবিগুলি ন্যায্য । আপনারা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের চরম বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন । আপনাদের প্রতিবাদ-আন্দোলন ন্যায় সঙ্গত । এই আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জ্ঞাপন করছি ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details