কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করল রাজ্য সরকার ৷ কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘ডিএ হচ্ছে এক্সগ্রেশিয়া’ (ex-gratia), যা রাজ্যের আর্থিক সামর্থের উপর নির্ভর করে ।’’ ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে উল্লেখ করলেন কিশোর দত্ত ৷
আজ মামলার শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারী যাঁরা দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইতে কর্মরত তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে মহার্ঘ ভাতা পান ৷ এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য কী ? অ্যাডভোকেট জেনারেল এই প্রশ্নের জবাবে জানান, যেহেতু তাঁরা রাজ্যের বাইরে থাকেন, তাই তাঁদের সঙ্গে এই রাজ্যে কর্মরত কর্মচারীদের তুলনা চলে না ৷ পাশাপাশি, অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘‘এরাজ্যে কর্মরত কর্মচারীদের যে রিভাইজড পে স্ট্রাকচার দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা রয়েছে ৷ বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির দিকে তাকিয়েই কর্মচারীদের পারিশ্রমিক প্রত্যেক বছর মূল্যায়ন করে রাজ্য ৷’’
আরও পড়ুন : Manoj Malviya : ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা মামলায় ডিজিকে তলব কলকাতা হাইকোর্টের
ডিভিশন বেঞ্চ তখন জানতে চায়, 2010 সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার কোন তফাৎ ছিল না ৷ তা হলে তার পর থেকে কেন এই তফাৎ হল ? এর জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘‘মূল্যসূচকের যে মানদণ্ডের কথা বলা হচ্ছে ৷ সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রাজ্যের সামর্থ কতটা ৷ রাজ্যের সামর্থ অনুযায়ী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে ৷ কর্মচারীদের পারিশ্রমিকের মূল্যায়ন করা হয় প্রত্যেক বছর ৷ পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তদের যে পেনশন বাড়ানো হয়, সেটা মূল্যসূচকের দিকে তাকিয়েই করা হয় ৷